( জর্ডান, কেন, সাকা)
সেনেগাল - ০
#দোহা: বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড শেষ সাতটি ম্যাচে আফ্রিকান কোনও দলের কাছে হারেনি। ২০০২ সালের পর এই প্রথমবার সেনেগাল পৌঁছেছিল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে। ব্রিটিশ সিংহ নাকি আফ্রিকান সিংহ, রবিবার রাতে কারা হুঙ্কার ছাড়ে সেটাই ছিল দেখার। ম্যাচের শুরুটা সেনেগাল যথেষ্ট দাপটের সঙ্গে করেছিল। কলিবালি, দিয়া, দিয়াটারা বল মাটিতে রেখে অসংখ্য পাস খেলছিল।
advertisement
কিন্তু ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বেলিংহ্যামের পাস থেকে গোল করেন হেন্ডেরসন। ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল তুলে নিল ইংল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম গোল পেলেন হ্যারি কেন। তিনটে এসিস্ট থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে গোল ছিল না ইংরেজ অধিনায়কের।
৫৭ মিনিটে সেনেগালের ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন সাকা। ফিল ফোদেনের ক্রস থেকে সাকা ফ্লিক করে বল জালে পাঠিয়ে দেন। এখানেই পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। ৬৫ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে ইংল্যান্ড। রাশফোর্ড এবং গ্রিলিশকে নিয়ে আসেন সাউথ গ্রেট।
প্রত্যেকটা গোলের পেছনে ইংল্যান্ডের হোমওয়ার্ক পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। সেনেগাল অবশ্য নিজেদের গতি এবং শক্তি কাজে লাগিয়ে এরপরেও চেষ্টা করে গেল। কিন্তু ইংলিশ ডিফেন্সে স্টোনস, লুক শ, ওয়াকাররা বিশেষ ভুল না করায় সুবিধা করতে পারছিলেন না আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা।
ব্লকার হিসেবে রাইস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন ইংল্যান্ড মাঝ মাঠে। আজ সেনেগালকে দেখে মনেই হচ্ছিল না টুর্নামেন্টে আজকের আগে পর্যন্ত এত ভাল ফুটবল খেলে এসেছে তারা। আজ সত্যিই অপ্রতিরোধ্য হয়ে গেছে ইংল্যান্ডকে। তিনটে বিভাগই নিখুঁত ফুটবল খেলেছে সাউথ গেটের ছেলেরা।
হ্যারি কেন গোলের মধ্যে ফিরে এসে চিন্তা কমিয়েছেন ইংলিশ সমর্থকদের। কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ফ্রান্সের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। এমন পারফরম্যান্স করার পর ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নিয়ে চিন্তায় থাকবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাও, এমনটা বলাই যায়।
নক আউটে বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের রেকর্ড খুব একটা ভাল ছিল না আজকের আগে পর্যন্ত। কিন্তু শেষবার ইউরো কাপ ফাইনালে পৌঁছে ইংল্যান্ড প্রমাণ করে দিয়েছিল এবারের দলটা আলাদা। ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে গিয়েছিল বটে। বিশ্বকাপে সেরকম প্রমাণ করার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড ফুটবল দল।