তাতে অবশ্য দমে যায়নি ইংল্যান্ড বা পশ্চিমের অন্যান্য দেশ। বিপত্তিটা বাধে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে অধিনায়কেরা কী বাহুবন্ধনী পরবেন, সেটি ফিফা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পর। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে ফিফা নতুন বার্তাসংবলিত আর্মব্যান্ড চালু করলেও ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না ইংল্যান্ড ও ওয়েলস।
আরও পড়ুন - বাঁশি মুখে ধমক দেবেন রোনাল্ডো, মেসিদের! বিশ্বকাপের নারী রেফারিরা কিন্তু প্রচন্ড কড়া
advertisement
ইংলিশ এফএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র দ্য ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছে ফিফার নির্দেশনা মানবে না ইংল্যান্ড। এই ব্যাপারে একমত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস। ফিফার নির্দেশনা না মেনে নিজেদের মতো করে বাহুবন্ধনী নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল দুটি। প্রতিটি রাউন্ডের জন্য থাকছে আলাদা প্রচারণা।
যেমন কোয়ার্টার ফাইনালে প্রচারণার থিম হবে ‘নো ডিসক্রিমিনেশন’। কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবাদে ডেনমার্ক প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিল তাদের ম্যাচের পোশাককে। সম্পূর্ণ কালো জার্সি ও প্যান্ট পরে বিশ্বকাপে মাঠে নামার কথা ছিল ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনদের। তবে ডেনমার্ককে সে অনুমতি দেয়নি ফিফা।
তবে ফুটবল মাঠে নামার আগে কোনও বিশ্বকাপ ঘিরে এত বিতর্ক, এর আগে হয়নি এটা নিশ্চিত। তবে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যেন খেলা থেকে ফোকাস হারিয়ে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি ইংলিশ কোচ সাউথ গেটের। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে চলা ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেলও মুখে নয়, কাজে করে দেখাতে চান।