মাত্র এক দিনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন রজত। রবিবার রাতেই ইনদওর থেকে উড়ে যান বেঙ্গালুরুতে। মধ্যপ্রদেশের রঞ্জি ট্রফি দলে যোগ দিতে। সোমবার সকালে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন। কর্নাটকের অনূর্ধ্ব-২৫ দলের বিরুদ্ধেও সেঞ্চুরি হাঁকান ২৮ বছর বয়সি ব্যাটার।আইপিএল নিলামে তিনি অবিক্রিত থাকার পরে কষ্ট পেয়েছিলেন।
advertisement
হাতে বেশ কয়েক দিন ফাঁকা সময় ছিল। বাড়ি থেকে তাই রজতের বিয়ের আয়োজন করা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন আরসিবি শিবির থেকে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয় রজতকে। বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে আইপিএল খেলতে চলে যান তিনি। রজত বলেন, এখনই বিয়ে করছি না। হয়তো আগামী বছরে তা হতে পারে।
আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি করার পরে ইডেনের দর্শকেরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। কথনও ভাবেননি, এত জন তাঁর জন্য উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবেন। রজতের কথায়, ৯৫ রান থেকে ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে, দলের রান বাড়িয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বড় শট নিচ্ছিলাম। সেঞ্চুরি করার লক্ষ্য থাকলে কখনওই ৯৫ থেকে ছয় মারতাম না।
একটি সেঞ্চুরি আমার জীবন অনেকটা পাল্টে দিয়েছে। ইনদওরে ফেরার পরে আমার সঙ্গে নিজস্বী তোলার আগ্রহ দেখেই বুঝলাম, সত্যি বড় কিছু করেছি। তিনি আরও বলেন, প্রথম বারের মতো আইপিএলে এই মাইলফলকে পৌঁছে যাওয়ার পরে দেখলাম ইডেনের গ্যালারি আমার নামের ধ্বনি তুলেছে।
এই মুহূর্ত যদি বাবা-মা দেখতেন, খুব খুশি হতেন। ম্যাচ জেতার পরে বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা হয়। কী বললেন বিরাট? রজতের কথায়, আমার জীবন যেন একটি আইপিএল সেঞ্চুরিতে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ না থাকে, সেটাই বুঝিয়েছিল।
ওর মতো ক্রিকেটার দলে থাকলে প্রত্যেকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলতে পারে। আমার মধ্যেও সেটাই হয়েছিল। রজত মনে করেন কলকাতার ইডেন গার্ডেনস বদলে দিয়েছে তার পরিচয়। কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের ভুলতে পারবেন না তিনি।