পাঞ্জাব এফসি – ২ (সুলিচ, ভিদাল)
কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলে এখন অস্কার যুগ। আর এই সময়ে ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ে ফেরা দেখতে মুখিয়ে সমর্থকরা। মঙ্গলবারের ম্যাচে দু’গোলে পিছিয়ে থেকে চার গোলে জিতল লাল-হলুদ। অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন।
অনেকে বলছেন, মঙ্গলবার এবারের আইএসএলের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেলে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। এদিনও কেউ আশা করেননি, ইস্টবেঙ্গল ম্যাচটা জিততে পারে! যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এদিন ৪-২ গোলে পঞ্জাব এফসিকে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
অস্কার ব্রুজোর একখানা মাস্টারস্ট্রোক, আর তাতেই বাজিমাত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মহেশের পরিবর্তে নামান পিভি বিষ্ণুকে। একইসঙ্গে ডেভিডের সঙ্গে ক্লেইটনকে ওপরে তুলে ৪-৪-২ ফরমেশনে চলে যান। আর তাতেই ম্যাচে ফেরে লাল হলুদ শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষে ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ৪-২ গোলে এগিয়ে গেল অস্কারের দল। খাইমিনথাং লুংডিম লালকার্ড দেখায় শেষ ২৬ মিনিট দশজনে খেলতে হয় পঞ্জাবকে। বিরতির পরই চোট পেয়ে বিদেশি স্টপার ইভান নভোসেলিচের মাঠ ছাড়া পঞ্জাবের হারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন- সারা দেশ বসে আছে যা দেখতে, এবার বিরাট কোহলিকে নিয়ে সেটাই হবে! বড় আপডেট
এই হারের পরও ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরেই থাকবে পাঞ্জাব। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের এগারো নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এখন ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা তাতে প্রতিটা জয়ই দলের মনোবল বাড়াতে পারে। এদিনের জয় তাই ইস্টবেঙ্গলকে মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে দেবে।
ঘরের মাঠে এদিন সমর্থকদের সামনে নামে ইস্টবেঙ্গল। তবে শুরু থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক ছকে শুরু করেন অস্কার। ৪-৪-১-১ ফরমেশনে দল সাজান। আর প্রথমার্ধে চূড়ান্ত ব্যর্থ লাল হলুদের রক্ষণ। দুটো গোলই ডিফেন্সের ভুলে।
আরও পড়ুন- রিঙ্কু সিংয়ের স্বপ্নপূরণ! এবার তিনি ক্যাপ্টেন, বড়সড় ঘোষণা হয়ে গেল
এদিকে, ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় অফসাইডের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোল বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় পঞ্জাব। ভিদালের সেন্টার থেকে গোল আসমির সুলিচের। ৩৯ মিনিটে ২-০। গোল পুলগা ভিদালের।
দ্বিতীয়ার্ধে দশ মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। ৪৭ মিনিটে ২-১ করেন হিজাজি মাহের। ৫৪ মিনিটে ২-২। পরিবর্ত ফুটবলার পিভি বিষ্ণুর গোলমুখী শট সুরেশ মিতেইয়ের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঠেলেন সুরেশ মিতেই। ৬৭ মিনিটে চতুর্থ গোল। দলকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু।