এদিন খেলার শুরু থেকেই ছন্নছাড়া দেখায় ইস্টবেঙ্গলকে। পঞ্জাব এফসি দ্রুত মাঝমাঠের দখল নিয়ে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে। যদিও ম্যাচের ৭ মিনিটে নিশু কুমার গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় পঞ্জাব। পঞ্জাবের তালাল এবং জর্ডন জুটিকে সামলাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ১৯ মিনিটে জর্ডনের গোলেই প্রথম লিড নেয় পঞ্জাব।
advertisement
যদিও সেই গোল শোধ করতে ইস্টবেঙ্গল বেশি সময় নেয়নি। ২৫ মিনিটে একক দক্ষতায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গোটা ম্যাচ জুড়ে পঞ্জাবের একাধিপত্ব দেখা যায়। মুহূর্মুহূ আক্রমণে বেসামাল দেখায় লাল-হলুদ রক্ষণকে। কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলছে ইস্টবেঙ্গল তাও বোঝা যাচ্ছিল না। তারই সুযোগ নিয়ে ৪৩ মিনিটে পঞ্জাবকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তালাল।
দ্বিতীয়ার্ধে মনে করা হয়েছিল পরিকল্পনা বদলে দলকে ম্যাচে ফেরাবেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। কিন্তু দলের খেলা একেবারে নিরাশ করে ফ্যানেদের। উল্টে ম্যাচের ৬২ মিনিটে ৭০ মিনিটে গোল করে লাল-হলুদের সব স্বপ্ন শেষ করে দেন জর্ডন ও মাজেন। ম্যাচে জোড়া গোল করে পঞ্জাবের নায়ক জর্ডন। এই হারের ফলে ২৪ পয়েন্টে মরশুম শেষ করল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। পড়শী ক্লাব যেখানে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে রয়েছে সেখানে আইএসএলে আরও একটি মরশুম হতাশাই সাঙ্গ হল ফ্যানেদের।