( দীপ)
মোহনবাগান - ১
( ফারদিন)
কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান সবসময় একটা বড় ম্যাচ। সেটা বড়দের হোক বা ছোটদের। এই ম্যাচ সবসময় বাঙালিকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়। আজও দিয়েছিল কলকাতা থেকে কয়েক ঘণ্টা দূরের জায়গা নৈহাটিতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কেউ কাউকে টপকে যেতে পারেননি। ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগে ফিরতি ডার্বিতে মুখোমুখি হয় এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে দীপ সাহার পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের দীর্ঘক্ষণ লিড ধরে রাখে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট আগে সমতায় ফেরে এটিকে মোহনবাগান। সুমিতের কর্নার থেকে হেডে গোল করে যান ফারদিন। দুজন ডিফেন্ডার তাকে কভার করলেও মাঝখান থেকে শরীরটাকে সঠিক জায়গায় রেখে হেডে বল জালে জড়িয়ে যান ফারদিন।
সিনিয়র দলের থাকার সুবিধা পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও রিকি, রানা, এঙ্গসনরাও সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলন করেন। ইস্টবেঙ্গল এর তুলনায় মোহনবাগান ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা বেশি। অ্যাসিস্ট’-র কিছুক্ষণ পরেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সুমিত। তার জেরে শেষ কয়েক মিনিট মোহনবাগানকে ১০ জনে পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। ১-১ গোলেই শেষ হয় ফিরতি ডার্বি। তবে শুক্রবার যেভাবে গোল ফস্কেছেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা, তাতে সবুজ-মেরুন শিবিরও হতাশ হবে। ম্যাচের অধিকাংশ সময় নিয়ন্ত্রণ করলেও তিন পয়েন্ট অধরা থেকে গিয়েছে। এদিনও ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র অসাধারণ কিছু সেভ করেন। তার জন্যই আটকে যায় মোহনবাগান। একাই চিনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান তিনি।