এখনও পর্যন্ত গোটা তিনেক ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগানের সিনিয়র দল। দলের সমস্ত ফুটবলাররা আসেননি। অনেকে ম্যাচ ফিট নন। একসঙ্গে বেশিদিন অনুশীলন না হওয়ায় দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হতেও সমস্যা হতে পারে। তবে এসব ব্যাপারকে খুব একটা আমল দিচ্ছেন না মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বড় ম্যাচ আলাদা। এই ম্যাচে যে দলের ফুটবলাররা স্নায়ুর চাপে দখল রাখতে পারবেন, তাঁরাই এগিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন- খোয়া গেল পদ্মশ্রী পুরস্কার! সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়িতে বড়সড় চুরি
অনেকেরই মত, এবার ইস্টবেঙ্গল ভাল দল গড়ছে। তবে ডার্বির আগের দিন মোহনবাগান তাঁবুতে বসে জেসন কামিন্স বলে গেলেন, ‘ইস্টবেঙ্গকে নিয়ে ভাবি না। ৯ নম্বরের দলকে নিয়ে চিন্তা করি না। নিজেদের খেলায় ফোকাস করছি। মোহনবাগানকে হারানো সহজ নয়। বেশিরভাগ ডার্বি জিতেছি আমরা। এটা ভুললে চলবে না’
আজ চলতি মরশুমের দ্বিতীয় ডার্বি। ০-১ এ পিছিয়ে সবুজ মেরুন। বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগের ডার্বি জিতেছিল। এবার অস্কার ব্রুজো জয় ছাড়া কিছুই ভাবতে নারাজ। গত কয়েক বছরে বড় ম্যাচ মানেই খাতায় কলমে ফেভারিট মোহনবাগান। আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। তবে আজকের ম্যাচে পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। তা মানছেন কোচ।
প্রতিবারের মতো এবারও ডুরান্ড ডার্বির টিকিট নিয়ে হাহাকার। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, এবার টিকিট নিয়ে সমস্যায় পড়বে না সমর্থকরা। কিন্তু এবারও আর্মির পক্ষ থেকে খুব কম সংখ্যক টিকিট বাজারে ছাড়া হয়েছে। ফলে চাহিদা ও জোগানে সামঞ্জস্য নেই। ডার্বির টিকিট সংগ্রহে হন্যে হয়ে ঘুরছেন সমর্থকরা।
গ্রুপ পর্বে দু’দলই তিনটে ম্যাচ জিতেছে। দু’দলই দিয়েছে ১২টা গোল। রবিবার ডার্বিতে নামার আগে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে কাকে যে এগিয়ে রাখতে হবে, তা বলতে ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও মাথ চুলকোতে পারেন। জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, দিমি পেত্রাতোস, টম অলড্রেড ও আলবের্তো রদ্রিগেজের মতো মোহনবাগান তারকাদের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
উল্টোদিকে, ইস্টবেঙ্গলের ছয় বিদেশির মধ্যে ডার্বিতে পাঁচ জনকে দেখা যাবে। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে ফিরেছেন প্যালেস্তাইনের মহম্মদ রশিদ। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ও সাউল ক্রেসপোর ডার্বি খেলেছেন আগে। মিগুয়েল ফিগুয়েরা, কেভিন সিবিলে ও হামিদ আহদাদ আজই প্রথম ডার্বি খেলতে নামবেন।