আরও পড়ুন– বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি ! ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে
বেশ ক’দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভেস পেজ ৷ বাড়িতেই বাবার চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করেছিলেন লিয়েন্ডার। বুধবার থেকে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ তাঁর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বুধবার সন্ধ্যাতেই বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর কাছে চলে আসেন লিয়েন্ডার পেজ ৷ চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভেস।
advertisement
পাঁচ দশক আগে হকিতে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী অলিম্পিয়ানের লড়াইটা অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতোই। অনেক বাধা অতিক্রম করে ছেলে লিয়েন্ডারকে টেনিস তারকা হতে সাহায্য করেছিলেন পিতা ভেস পেজ। ভারতীয় টেনিস সার্কিটে পিতা-পুত্রের বিরাট লড়াইয়ের গল্প শোনা যায়। লিয়েন্ডারের মা জেনিফার পেজও ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতীয় মহিলা বাস্কেটবল দলের একসময়ের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। জেনিফার নিজেও অসুস্থ।
ভেস পেজ ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ভারতীয় হকি দলের সদস্য। ওই দল অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতে। তার আগের বছর বার্সেলোনায় হকি বিশ্বকাপেও দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভেস। মিডফিল্ডার হিসাবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি ছিল তাঁর। নিজে ক্রীড়াবিদ হওয়ার পাশাপাশি স্পোর্টস মেডিসিনে খ্যাতনামা চিকিৎসক ছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট দল, ভারতের ডেভিস কাপ দল-সহ দেশের একাধিক প্রথম সারির ক্রীড়া সংস্থায় ফিজিও এবং চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। কিংবদন্তি ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে অপুরণীয় ক্ষতি। তাঁর প্রয়াণে শোকবিহ্বল গোটা ক্রীড়ামহল। শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।