ফিয়ারলেস এল্ডার। বিরাটের দলে এটাই তাঁদের ভূমিকা। পুণেতে একযোগে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং যুবরাজ সিং। তাই ভাইরা তাড়াতাড়ি আউট হতেই ব্যাট ধরলেন দুই দাদা। শুধু ধরলেন না, কটকে এই দুয়ের কাঁধেই ইংল্যান্ড কোণঠাসা হয়ে গেল। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংরেজ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। পঁচিশ রানে বিরাট- সহ তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপর যুবি-মাহি শো। ২০১১-র পর একদিনের ক্রিকেটে প্রথম শতরান যুবরাজের। কেরিয়ারের চোদ্দতম। আর ২০১৩-র পর ধোনির ব্যাটে রানের ফুলঝুড়ি। কেরিয়ারের দশম। রাতের দিকে কটকের পিচে কী হবে, তা সময় বলবে, তবে দুই ফিয়ারলেস এল্ডারের ব্যাটে আপাতত মজে ভারতীয় ক্রিকেট। সেঞ্চুরির পর এদিন কেঁদেই ফেলেন যুবি ৷
advertisement
তবে এত সবের মধ্যেও একটা কথা বলতেই হবে যে রাঁচির রাজপুত্রের জন্যই এদিন যুবি বেঁচে যান। অাগেই আউট হয়ে যেতে পারতেন। ধোনিই বাঁচিয়ে দেন তাঁকে। ৪০.৫ ওভারের ঘটনা। ইয়র্কার দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ওকস। বল যুবির ব্যাটে লেগে বাটলারের হাতে পৌঁছয়। আম্পায়ার অনিল চৌধুরী আঙুল তুলে দেন। পঞ্জাবতনয়ের রান তখন ১৪৭। ঠিক সেই সময়ে ধোনি ত্রাতা হয়ে দেখা দেন। কালবিলম্ব না করে আম্পায়ারের কাছে রিভিউয়ের আবেদন করে বসেন ধোনি। যুবরাজও তাতে সায় দেন। রিপ্লেতে দেখা যায় যুবির ব্যাটে লেগে বল আগে মাটিতে ড্রপ করেছিল। পরে তা বাটলারের হাতে পৌঁছয়। অর্থাৎ যুবরাজ আউট নন। শেষ পর্যন্ত যুবি ১৫০ রান করেন। ধোনি সেইসময় রিভিউ-র আবেদন না করলে হয়তো আজ এই দুর্দান্ত ইনিংসটা সম্ভব হত না যুবরাজের ৷