সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে রাখছেন ধোনির চেন্নাইকে। কিন্তু আইপিএলের মঞ্চে পচা শামুকে পা কাটার ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। তাই ধোনিরা সতর্ক ও সাবধানী। কারণ, দিল্লিও মরা গাঙে বান আনতে বদ্ধপকির। শেষ চারটি ম্যাচ জিতলে অঙ্কের বিচারে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারে সৌরভ গাঙ্গুলির দিল্লি ক্যাপিটালস।
তবে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দারুণ ভারসাম্য রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস দলে। ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ডেভন কনওয়ে বড় রানে ভিতটা গড়ে দিচ্ছেন সহজেই। ফলে পরের দিকে শিবম দুবে, অজিঙ্কা রাহানেরা খেলছেন খোলা মনে। অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ও মঈন আলিও অধিনায়কের আস্থা অর্জনে সফল। চেন্নাইয়ের বোলিংও বেশ শক্তিশালী।
advertisement
চোট সারিয়ে দীপক চাহার ফেরায় সিএসকে’র পেস আক্রমণের ঝাঁঝ বেড়েছে। নতুন বলে তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন তুষার দেশপাণ্ডে। আর বল একটু পুরানো হলে দুর্দান্ত রিভার্স সুইং ও ইয়র্কারে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দিচ্ছেন মাথিশা পাথিরানা। শুরুটা বেশ খারাপই হয়েছিল দিল্লির। পর পর পাঁচটি ম্যাচ হারার পর অনেকেই সৌরভ গাঙ্গুলির দলকে নিয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু শেষ পাঁচটির মধ্যে চারটি ম্যাচ জিতেছেন অক্ষর প্যাটেলরা। দিল্লিকে ‘জায়ান্ট কিলার’ বলাই ভালো। গত ম্যাচে তারা হারিয়েছে কোহলির আরসিবি’কে। তার আগে বশ মানিয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাতকে। তাই খাতায়-কলমে চেন্নাই এগিয়ে থাকালেও, দিল্লিকে হেলায় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ফিল সল্ট ওপেনার হিসেবে ভরসা জোগাচ্ছেন। ছন্দে আছেন ওয়ার্নারও। বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুকে, আগের ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি। আজ বুধবার রাতে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ঢুকে ধোনির দলকে সৌরভের ছেলেরা হারাতে পারে কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।