বিশাল চেহারা না হলেও একজন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন, তার সবকটা রয়েছে ইভানের। পজিশনিং, হেডিং, ট্যাকল, তলা থেকে খেলা তৈরি করা - ঠান্ডা মাথার এই ডিফেন্ডার কলকাতায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চিন্তা অনেকটাই কমবে।
advertisement
ইভান জানেন গোয়ার মাঠে খেলা আর কলকাতার মাঠে খেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য দর্শকদের উপস্থিতি। ইস্টবেঙ্গলের চাপ এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাকে নিয়ে যে ভুল করেননি ইনভেস্টার সংস্থা ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট সেটা প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। কাগজপত্র সই হয়ে গিয়েছে। মাঠে নেমে এবার অনুশীলন শুরু বাকি।
কিন্তু কিছুতেই যেন তর সইছে না এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাল হলুদ জার্সি গায়ে নিজের ছবি দিয়েছেন ইভান। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, তাড়াতাড়ি আসছি। শনিবার সকালেই শহরে পা রেখেছেন সাইপ্রাসের কিরিলাম্বস কিরিয়াকু। সঙ্গে পরিবারও এসেছে। আর বিকেল তিনটের সময় অনুশীলনে নেমে পড়লেন সুদর্শন ফুটবলারটি।
মেদহীন পেটাই চেহারার ডিফেন্ডার বেশ চনমনে ছিলেন। একবারের জন্য দেখে মনে হয়নি তিনি জেট ল্যাগে কাবু। বরং বেশ আনন্দের সঙ্গে অনুশীলন করলেন। দেখে বোঝা গেল এই মুহূর্তে ফিটনেস এর অভাব রয়েছে। তবে কিরিয়াকুর জাত নিয়ে সন্দেহ নেই। ইভান গঞ্জালেস এবং কিরিয়াকুর ওপরেই থাকবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স সামাল দেওয়ার দায়িত্ব। দুজনেই তৈরি লাল হলুদ জার্সিতে নিজেদের মেলে ধরতে।