পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। চেন্নাইকে প্রথমে খেলায় ফেরান আকাশ সিংহ। ১৮ রানের মাথায় ব্রুককে আউট করেন তিনি। আর সেখানেই আটকে গেল হায়দরাবাদ। মাহেশ থিকশানা, রবীন্দ্র জাডেজা ও মইন আলি ব্যাটারদের সমস্যায় ফেললেন। চিপকের উইকেটে বল ঘুরল। তার ফলে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ল।
তিন স্পিনার হায়দরাবাদ ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খারাপ করে দিলেন। কেন মহেন্দ্র সিং ধোনি শুধু অধিনায়কত্ব দিয়েই দলে থাকতে পারেন সেটা আবার প্রমাণ করলেন। ঘরের মাঠে ম্যাচ জিততে ১৩৫ রান করতে হত ধোনিদের। ব্যাট করছে নেমে চেন্নাইয়ের ঋতুরাজ এবং কনওয়ে দুর্ধর্ষ শুরু করলেন। ৮৭ রানের পার্টনারশি হল। এখানে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়ের জয়।
advertisement
ভাগ্য খারাপ বলে অদ্ভুতভাবে রান আউট হতে হল ঋতুরাজকে (৩৫)। ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে থাকার কারণে আউট হলেন তিনি। এরপর এলেন অজিঙ্কা রাহানে। মারকান্দর বলে মাত্র নয় রান করে ফিরে গেলেও রাইডু এবং কনওয়ে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মারকান্দর আবার একটা দুর্দান্ত বল বোল্ড করে দিল রাইডুকে (৯)। এলেন মইন আলি।
এখান থেকে আর উইকেট হারায়নি চেন্নাই। দাপটের সঙ্গে ৭ উইকেটে জিতেই লিগ টেবিলে নিজেদের উন্নতি ঘটাল তারা। ধোনির চেন্নাই বুঝিয়ে দিচ্ছে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট তারা। বিরাট কোহলি বেঙ্গালুরু পর সানরাইজার্সকে হারাতেও খুব বেশি পরিশ্রম করতে হল না চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। চেন্নাই এক্সপ্রেস স্বাভাবিক গতিতেই ছুটছে।