ওয়েলস: ০
#লিয়ঁ: চ্যাম্পিয়নরা বোধহয় এমনটাই হন। অপেক্ষায় থাকেন সঠিক প্ল্যাটফর্মের এবং সঠিক সময়ের। গোটা টুর্নামেন্টে মিইয়ে থেকেও সেমিফাইনালে ঝলসে উঠলেন রোনাল্ডো। গোল করলেন এবং করালেনও ৷ ১২ বছর পর পর্তুগালকে ইউরোর ফাইনালে তুললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে সিআর সেভেনের পরপর বিস্ফোরণে ২-০ গোলে হারল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।
advertisement
হারলেন না বেল। জিতলেন রোনাল্ডো। ওয়েলসকে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে পর্তুগাল। গোল করে ও করিয়ে লিয়ঁ মাতালেন ক্রিশ্চিয়ানো।ম্যাচটা দুরন্ত শুরু করেও স্রেফ অভিজ্ঞতার অভাবেই শেষ ওয়েলসের ফেয়ারি টেল। অ্যারন র্যামসে, বেন ডেভিসের না থাকাটাই কাল হল ওয়েলসের। বেল চেষ্টা করলেন, কিন্তু সেটাই সব ছিল না। ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন রেনাতোরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওয়েলস ডিফেন্সের লকগেট খুলে ফেলেন রোনাল্ডো। ছয় গজের বক্স থেকে পাওয়ার হেডের যে নমুনা রাখলেন ক্রিশ্চিয়ানো, সেটা হয়তো শুধু তিনিই পারেন। সিআর সেভেনের ফুটবল মানেই যে পাওয়ার আর স্ট্যামিনা। ইউরোয় গত ম্যাচগুলিতে আটকে যাওয়ার পর বারেবারে সমালোচকদের নিশানা হয়েছেন রিয়াল মায়াস্ট্রো। লিয়ঁর মাঠে বেল বাজিয়ে পর্তুগালকে ফাইনালে তুলতে অবশ্য ভুল হয়নি ক্রিশ্চিয়ানোর।
দ্বিতীয়ার্ধের ছোট্ট একটা ট্যাকটিকাল স্পেল। রোনাল্ডোকে উইংয়ে সরিয়ে রেনাতোকে একটু ওপরে তুলে আনতেই কেঁপে গেল ওয়েলশ ডিফেন্স। ৫৩ মিনিটে নানির গোলেও পুরো কৃতিত্বটাই সিআর সেভেনের। স্কোরলাইন পর্তুগাল ২। ওয়েলস ০।
লিয়ঁ টু প্যারিসের জার্নিতে প্লাতিনিকেও ছুঁয়ে ফেললেন রোনাল্ডো। নয় গোল করে জায়গা করে নিলেন ফরাসি কিংবদন্তির পাশে। মাত্র ৯০ মিনিটেই ইউরোর ফোকাসে সিআর সেভেন। চ্যাম্পিয়নরা সত্যি এমনটাই হন।
দ্বিতীয়ার্ধেই এদিন দুটি গোল করে পর্তুগাল ৷ দেখে নিন ম্যাচের হাইলাইটস ৷