ওমিক্রন ভাইরাসের (Omicron Virus) কারণে ইতিমধ্যেই চারটি ম্যাচ হারিয়েছে প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই (BCCI) দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছাড়পত্র দিলেও মাঠের মধ্যে দর্শক ঢোকার অনুমতি এখনও দেয়নি স্থানীয় প্রাশসন। যার অর্থ টিকিট বিক্রি'র লভ্যাংশও হারাতে পারে তারা। একাধিকবার দর্শক মাঠে উপস্থিত থাকার ছাড়পত্রের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সে দেশের ক্রিটে বোর্ড আর্জি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসেনি।
advertisement
যদিও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার কার্যনির্বাহী আধিকারিক ফোলেটসি মোসেকি আশাবাদী কিছু সংখ্যক দর্শকে তাঁরা স্টেডিয়ামে স্বাগত জানাতে পারবেন। তাঁর কথায়, "সমর্থক'রা যাতে এই ম্যাচে মাঠে ঢুকতে পারে তার দিকে নজর আছে আমাদের। আমাদের বৈঠক শেষ হলেও এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো। এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং আমরা আশাবাদী দিনের শেষে স্বস্তিদায়ক কিছু ঘোষণা করতে পারব।"
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের আশা সকল সমর্থককে ছাড়পত্র না দিলেও যাঁদের ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে তাঁদের অন্তন মাঠে আসার ছাড়পত্র দেবে স্থানীয় সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের সংক্রমণ যখন শীর্ষে সেই কঠিন সময়ে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সফল ভাবে দু'টি ক্ষেত্রে জৈব সুরক্ষা বলয় (Bio Bubble) তৈরি করেছিল এই হোটেল। গত বছরের ডিসেম্বরে এই হোটেলে থেকেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা দল।
চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে এই হোটেলেই থাকে পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সেঞ্চুরিয়ানের প্লাস ইরিনি কান্ট্রি লজ (Irene country lodge)। স্থানীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী ১৭ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়ানে (Centurion Supersports Park) পা রাখার পর থেকেই এই হোটেলে থাকবে গোটা দল। সাম্প্রতিক অতীতে এই হোটেলেই কোভিড প্রোটোকল মেনে আপ্যায়ন করেছে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা'কে।
এই হোটেল থেকেই বক্সিং ডে টেস্টে সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে মাঠে নামবে ভারত। নতুন বছরে দ্বিতীয় টেস্টের সময়েও একই হোটেলে থাকবে বিরাট কোহলির দল। এরপর কেপটাউনে যাবে গোটা টিম। বিসিসিআই'কে প্রোটিয়া বোর্ড নিশ্চিত করেছিল কোভিড প্রোটোকল কঠোর ভাবে মানার বিষয়ে।
শুধু কথার কথা নয়, সাবধানতার ক্ষেত্রে যে কোনও আপোস আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ড করছে না তার প্রমাণও মিলল হাতেনাতে। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জেতা হয়নি ভারতের। একদিনের এবং টি টোয়েন্টি সিরিজ অবশ্য জিতেছিল ভারত। তাই এবার আফ্রিকা মহাদেশ থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফেরার নতুন চ্যালেঞ্জ রয়েছে বিরাট কোহলির সামনে।