#রাজকোট: সোমবার রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে গিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা আর মঙ্গলবার সকালে নেমে দলের ইনিংস বিল্ডিং করলেন একেবারে ভাবনাচিন্তা করে ৷ নিজে হয়ত এদিন শতরান করেননি কিন্তু এদিন অর্পিত ভাসাভাদাকে দিয়ে শতরান করালেন তিনি ২০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর এদিন ষষ্ঠ উইকেট পরল ৩৪৮ রানের মাথায় ৷ আসলে সৌরাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে লিড সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর তা মঙ্গলবার বোঝা গেল তাদের স্লো বাট স্টেডি ইনিংস বিল্ডিংয়ের মধ্যে দিয়ে ৷
advertisement
এদিন অর্পিত ২৮৭ বলে ১০৬ রান করেন আর পূজারা ২৩৭ বলে ৬৬ রান করেন ৷ একটা পরপর দুটো সেশনে যেভাবে এই দুই সৌরাষ্ট্র ক্রিকেটার ব্যাট করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল একেবারে রানের চুড়োয় পৌঁছে বাংলা দলকে কোনঠাসা করতে চান তাঁরা ৷ এদিকে বাংলার বোলাররা প্রথম দিনের শেষবেলায় যে সাফল্য পেয়েছিলেন, এদিনও অনেকটা তাই হল দিনের শেষে আট উইকেটে হারিয়েছে তারা ৷ বাংলার হয়ে আকাশদীপ ৩ উইকেট, শাহবাজ আহমেদ ও মুকেশ কুমার ২ টি করে উইকেট পেয়েছেন ৷ অর্পিতকে এদিন প্যাভিলিয়নে ফেরান শাহবাজ আহমেদ অন্যদিকে পূজারা উইকেট পেয়েছেন মুকেশ কুমার ৷
বুধবার সকালে বাংলার লক্ষ্য হবে বাকি দুটি উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে এই বিশাল রান ঠান্ডা মাথায় তাড়া করতে নামা ৷ খেলার ফল যদি প্রথম ইনিংসে লিডের প্রেক্ষিতে হয় তাহলে এইকাজটা করতেই হবে বাংলা থিঙ্কট্যাঙ্ককে ৷
এর আগে সোমবার সকালটা ছিল পূজারাদেরই ৷ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনারদের টলানো যাচ্ছিল না ৷ প্রথম উইকেটের জুটিতেই ওঠে ৮২ রান ৷ রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আরামেই রান আসছিল সৌরাষ্ট্রের দুই ওপেনার হার্ভিক দেসাই (৩৮) এবং অভি বারোত (৫৪)-এর ব্যাটে ৷ অবশেষে সৌরাষ্ট্রকে প্রথম ঝটকাটা দেন শাহবাজ আহমেদ ৷ আকাশদীপের বলে আউট হন বারোতও ৷ রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে লড়াইয়েও ফেরে বাংলা।
শেষ বেলায় পাটা উইকেটে পেসারদের প্রত্যাঘাত। রঞ্জি ফাইনালের প্রথম দিনে বাংলার কামব্যাক। ঈশান, আকাশদীপদের প্রশংসা করেও রাজকোটের উইকেট নিয়ে সমালোচনায় বাংলার কোচ অরুণলাল। জ্বর আসায় ম্যাচের মাঝপথেই এদিন মাঠ ছাড়লেন পূজারা।
রঞ্জি সেমিফাইনাল ছিল ঈশান, মুকেশের। আর রঞ্জি ফাইনালে বাংলাকে লড়াইয়ে রাখলেন আকাশদীপ। রাজকোটের পাটা উইকেটে প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের রান পাঁচ উইকেটে ২০৬। টস জিতে এদিন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাটের। পাটা পিচে উইকেট তুলতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছিল শাহবাজদের। প্রথম ব্রেক থ্রুটা অবশ্য দেন তিনিই। দুরন্ত ক্যাচ ধরেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা অভিষেক রমন। পরে সাময়িক রানের গতি বাড়লেও তা খুব বেশি বাড়েনি। দিনের শেষ বলে উইকেট তুললেন আকাশদীপ। পেসারদের প্রশংসা করলেও রঞ্জি ফাইনালের উইকেট নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত বাংলার কোচ অরুণলাল।
তবে প্রথম দিনের শেষে দুই শিবিরের জন্যই খারাপ খবর থাকল। ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেলেন সুদীপ, অনুষ্টুপ। আঙুলে চোট নিয়েই খেলছেন মনোজও। এদিকে জ্বর আসায় মাঝপথেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন নিউজিল্যান্ড ফেরত পূজারা। সৌরাষ্ট্রকে তিনশোর মধ্যে বেঁধে রাখাই আপাতত বঙ্গ ব্রিগেডের চ্যালেঞ্জ। ফ্যাক্টর, দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুঘণ্টার খেলা।