কুর্নিশ টিম ইন্ডিয়ার লড়াকু মনোভাব৷ রোহিত, গিল, প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন চতুর্থদিনেই৷ ক্রিজে ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে -চেতেশ্বর পূজারা ৷ তবে পঞ্চম দিনে শুরুতেই ধাক্কা দেয় অস্ট্রেলিয়া৷ মাত্র ৪ রানেই ভারত অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানেকে প্যাকআপ করে দেয় তারা৷ ন্যাথান লিঁও-র বলে ওয়েড তাঁকে তালুবন্দি করেন৷ তবে এরপরে চোট নিয়ে পন্থ নেমে একেবারে কামাল করে দেন৷
advertisement
দলের মাথায় চতুর্থ ইনিংসে জয়ের ৪১০ রান চাপিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ চেতেশ্বর পূজারা একদিকে উইকেট আগলে রাখার কাজ করছিলেন আর অন্যদিকে ঋষভ পন্থ অজি বোলারদের ভয় দেখানোটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন নিজের ‘চালিয়ে’ খেলা দিয়ে৷ পঞ্চমদিনের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার পেস ও স্পিনারদের কেটে তিনি ১১৮ বলে ৯৭ রান করেন৷ তাঁর এদিনের ইনিংস সাজানো ১২ টি চার ও ৩ টি ছয় দিয়ে৷ কিন্তু একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর৷ লিঁও-র বলে কামিন্সের হাতে তালুবন্দি হন তিনি৷
তবে তিনি যে সাহসের সঞ্চারটা তিনি করে দিয়ে যান সেটা বয়ে নিয়ে চলেন পূজারা, হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্র অশ্বিন৷ ম্যাচ জেতার একটা চেষ্টা হয়ত তাঁরা করতে পারতেন বলে ক্রিকেটবোদ্ধারা, কিন্তু তাঁরা বিদেশের মাটিতে আরও একটা টেস্ট হারের লজ্জা আটকানোর মোটিভেশন নিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন৷
পূজারা ২০৫ বল খেলে ৭৭ রান করে আউট হয়ে যান৷ তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১২ টি চার দিয়ে৷ এদিকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আউট করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সবরকমের বোলিং অপশন ট্রাই করেও সিমেন্টের মতো আটকে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের তাঁরা সরাতে পারেননি৷
শেষ হাসি হাসল টিম ইন্ডিয়া। কারণ অজি আগ্রাসন প্রতি মুহূর্তে যেখানে তাঁদের পুঁতে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে লড়াই করছিল ঠিক তেমনি দাঁতে দাঁত চেপে বুক চিতিয়ে লড়াই পূজারা, অশ্বিন, হনুমা, পন্থদের। যার সুবাদে তৃতীয় টেস্টের শেষেও সিরিজ রইল ১-১৷