রিচা ঘোষ সম্প্রতি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতে শিলিগুড়ির নাম উজ্জ্বল করেছেন। বাংলার কৃতি মেয়ে সারা দেশকে গর্বিত করেছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। ঘরের মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়িবাসী। শুক্রবার শিলিগুড়িতে পা রাখতেই বিমান বন্দর থেকে শুভেচ্ছা-সংবর্ধনা-ভালবাসায় ভেসে যান রিচা ঘোষ।
advertisement
অশোক ভট্টাচার্য রিচার পরিবারের সঙ্গেও কিছুক্ষণ সময় কাটান। ফুলের স্তবক দিয়ে রিচাকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি বলেন, “রিচা শুধু শিলিগুড়ি বা বাংলার নয়, সারা দেশের গর্ব। আশা রাখি, ভবিষ্যতে ও আরও সাফল্য এনে আমাদের গর্বিত করবে।” রিচার সঙ্গেও আলাদা কথা বলেন প্রবীণ সিপিআইএম নেতা।
রিচার বাড়িতে আজ উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর, ক্লাব সদস্য ও এলাকার অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী। সবাই মিলে রিচার সঙ্গে ছবি তোলেন ও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণীর প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে শহরের নানা মহল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছাচ্ছে। রিচা জানিয়েছেন, “এত ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত। আগামী দিনে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুনঃ Richa Ghosh: যে অলি-গলিতে বেড়ে ওঠা, সেখানেই আজ সেলিব্রিটি! ‘ভালবাসায় ভেসে’ ঘরে ফিরলেন বিশ্বজয়ী রিচা
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পা রাখেন রিচা ঘোষ। নামার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় সংবর্ধনার পর্ব। গোটা শিলিগুড়ি জুড়ে উৎসবের আমেজ। অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মেয়র গৌতম দেব।পুরসভার তরফ থেকেও সাজানো হয় গোটা শিলিগুড়ি শহর। লাল গালিচায় পা রেখে, জাতীয় পতাকায় মোড়া হুডখোলা গাড়িতে চেপে, চেনা শহরবাসীর ভালোবাসায় ভেসে ঘরে ফিরলেন রিচা।
গোটা যাত্রাপথে রিচাকে দেখার জন্য অপেক্ষা ছিল তার ফ্যানেরা। মাঝে মাঝে গাড়ি থামাতেও হয়। বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন, স্থানীয় বাসিন্দারা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন ঘরের মেয়েকে। রিচার বাড়ি সুভাষপল্লি থেকে বাঘাযতীন পার্কের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। এই রাস্তা জুড়ে লাল গালিচা পাতা হয়েছে। স্থানীয় মহিলা ক্রিকেটারদের গার্ড অফ অনার দেয় রিচা ঘোষকে।
