আসলে, আইপিএলের মতো লম্বা টুর্নামেন্টে প্রথম দু’একটি ম্যাচ দেখে একটি দলের সম্ভাবনা আন্দাজ করা মুশকিল। আর যাই হোক চিপকে ধোনিরা পাবেন বিপুল দর্শক সমর্থন, যা তাঁদের জোগাবে বাড়তি অক্সিজেন। শুরুটা ভাল না হলেও চেন্নাই হয়তো প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তনের পথে যাবে না। তবে এবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম রয়েছে।
তাই পাঁচজন সাব প্লেয়ার চয়নও হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য ৯২ ছাড়া গত ম্যাচে চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো ছিল না। এই রোগ সারাতে না পারলে কপালে ফের দুঃখ রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যাটিং অর্ডারে কিছু রদবদলও ঘটাতে হবে। ধার বাড়াতে হবে বোলিংয়েও। তারই মধ্যে চিন্তায় ফেলেছে ধোনির চোট।
advertisement
গত ম্যাচে পায়ে টান ধরেছিল তাঁর। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কিপিং করেছিলেন। তবে দলের স্বার্থে যন্ত্রণা ভুলে মাঠে নামার অভ্যাস তাঁর নতুন নয়।নয়। আর সেটাই আশায় রাখছে সমর্থকদের। এদিকে, লখনউ সুপার জায়ান্টস দলে রয়েছে দুর্দান্ত ভারসাম্য। প্রথম ম্যাচে তার সুফলও পেয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। আনকোরা কাইল মেয়ার্স ওপেন করতে নেমে ঝোড়া ৭৩ রান করেছিলেন, যা বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল ম্যাচে।
কিন্তু ছন্দে নেই ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে তাঁর উপর থাকবে বাড়তি চাপ। দীপক হুদা, নিকোলাস পুরানরা একক দক্ষতায় দলকে জেতাতে পারেন। মার্কাস স্টোইনিস ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার থাকায় লোয়ার মিডল অর্ডারও বেশ মজবুত। লখনউয়ের পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। ছন্দে আছেন মার্ক উড, আভেশ খান।
স্পিন বিভাগে রবি বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে খেলতে পারেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। চেন্নাই দলের সাফল্য অবশ্য অনেকটাই নির্ভর করছে দুই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা এবং বেন স্টোকস এর ওপর। মইন আলির দিকেও নজর রাখতে হবে। তবে লখনউ দলে মার্কোস স্তইনিস নিজের দিনে পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারেন।
