বিগত কয়েক মাসে ইস্টবেঙ্গল দলটার আমূল কোনও পরিবর্তন তিনি এখনও করে উঠতে পারেননি। কিন্তু কুয়াদ্রাত স্যারের ‘প্রক্রিয়ার’ তত্ত্ব যে কাজ করছে তা বোঝাই যাচ্ছে। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে ডার্বি জয়ের পর আবেগে ভেসেছিল লাল-হলুদ জনতা। কিন্তু সেই ডুরান্ডের ফাইনালেই মোহনবাগানের কাছে হারের পর গ্রুপ পর্বের জয়কে ফ্লুক বলে তকমা দিয়েছিলেন সমালোচকরা। তবে কোনও কথায় কান না দিয়ে নিজের প্রক্রিয়া চালিয়ে গিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। যার ফল কিছুটা হলেও হাতেনাতে পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
advertisement
সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের ডার্বিতে যে ফুটবলটা খেলল ইস্টবেঙ্গল তাতে দলটা আগের থেকে অনেকটা বদলে গিয়েছে পরিষ্কার। ১ গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে কামব্যাক করে ৩-১ গোলে জিতল দলটা তা অনবদ্য। দেখা মিলল সেই সোনলী দিনের ইস্টবেঙ্গলের ঝলকের। যখন বলা হত গোল খেয়ে গেলে ইস্টবেঙ্গল খোঁচা খাওয়া বাঘ। তারপর প্রতিপক্ষকে ছিড়ে খায়। এদিন কলিঙ্গতেও ১ গোল খাওয়ার পর বেশ কিছুটা সময় মোহনবাগানের ডিফেন্সের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ক্লেইটন সিলভা, নন্দকুমাররা। বাগানিরা যতই বলুক আমাদের অনেক প্লেয়ার জাতীয় দলে রয়েছে। তাতে ডার্বির মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব কোনও অংশে কমে না। বড় ম্যাচ সবসময় বড় ম্যাচই হয়। মর্যাদার লড়াই।
আরও পড়ুনঃ KKR Team News: আইপিএলের আগে বড় ধাক্কা! দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারাল কেকেআর
ইস্টবেঙ্গল অপ্রতিরোধ্য হয়ে গিয়েছে এই কথা বলা যাবে না। কিন্তু দলটা অনেক পাল্টাচ্ছে আরও পাল্টাবে আগামী দিনে কলিঙ্গে তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। আর এই সবকিছুর কৃতিত্ব প্লেয়াদের যতটা না রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি কুয়াদ্রাত স্যারের। এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। এক মরশুমে এখনও পর্যন্ত শেষ কবে ২ বার কবে ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল তা অনেকেই মনে করতে পারবেন না। কিন্তু কার্লেস কুয়াদ্রাত তা করে দেখিয়েছেন। এখনও আইএসএলে ২ পর্বের ডার্বি বাকি রয়েছে। সে সব নিয় পড়ে ভাবা যাবে। আপাতত কলিঙ্গ জয়ের পর আপামর লাল-হলুদ ফ্যানেদের ‘ম্যাজিক ম্যান’ কুয়াদ্রাত স্যার।