এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে সিএবি। ইতিমধ্যে খোঁজখবর করে তারাও জানতে পারেন ঘটনাটা সত্যি। বছরের পর বছর এভাবেই অন্য রাজ্যের ক্রিকেটারদের স্থানীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে খেলিয়ে যাচ্ছে একাধিক ক্লাব। এমনকি রীতিমত একাধিক অসাধু চক্র তৈরি হয়েছে, যারা উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, বিহার, হরিয়ানা খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে তাদের পরিচয় পত্র বানিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে বাংলার ভূমিপুত্রদের জায়গা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। তবে এবার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসলো সিএবি। কলকাতা ময়দানে খেলার জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে বঙ্গ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
advertisement
সিএবি সূত্রে খবর, এতদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল যে কোন একটি জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই বাংলায় রেজিস্ট্রেশন করা যায়। ফলে স্থানীয় ঠিকানায় নতুন করে আধার কার্ড দেদার তৈরি করে খেলে যাচ্ছিলেন ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়রা। তবে এবার থেকে নিয়ম হচ্ছে আরও কঠোর। যেকোনো একটি পরিচয় পত্র নয়, সব পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে ক্রিকেটারদের। সাথে দিতে হবে ব্যাঙ্কের শেষ তিন বছরের পাসবুকের খতিয়ান। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সই করে দেবেন সেই তথ্যে। অর্থাৎ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের শেষ তিন বছরের তথ্য জমা দিতে হবে। কোন ক্রিকেটারদের পাসপোর্ট থাকলে সেটা কেউ জমা দিতে হবে।
সিএবি কর্তারা মনে করছেন, এই নিয়ম কার্যকর হলে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের বাংলার পরিচয় বানিয়ে খেলানোর যে অপকর্ম হয় তা বন্ধ করা সম্ভব। এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য আগামী ২রা মার্চ সিএবি বিশেষ সাধারণ সভার ডাক দিয়েছে। সেখানেই সিএবি ক্রিকেটারদের পরিচয় পত্র সংক্রান্ত সংবিধান পরিবর্তন করতে চলেছে। বৈঠকে নতুন নিয়ম পাশ হয়ে যাবার পরেই সুপ্রিম কোর্টের থেকে সংবিধান সংশোধন করানো হবে।
সিএবি কর্তারা চাইছেন আগামী বছর থেকেই পরিচয় পত্র সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ সমাধান করতে। সূত্রের খবর, যে সমস্ত ক্রিকেটাররা এখন খেলছেন প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য। এমনকি কোন ক্রিকেটারের যদি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট না থাকে সেক্ষেত্রে তার মা বা বাবার ব্যাঙ্কের শেষ তিন বছরে তথ্য জমা দিতে হবে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের আধিপত্য কমাতে মরিয়া সিএবি।