আরও পড়ুন - Imran Khan : মহিলা দেখলেই যৌন নেশায় পাগল হয়ে যেতেন ইমরান! হার মানবেন শেন ওয়ার্ন
টিলম্যান, মাইকেল স্পিংস, ল্যারি হোমস, ব্রুনো, বারবিকের মত বক্সারদের আকাশের তারা দেখিয়েছেন রিংয়ে। যৌবনে তিনি এত টাকা এবং খ্যাতি উপার্জন করেছিলেন যাতে মাটিতে পা থাকত না আর টাইসনের। জুয়া নেশায় উড়িয়ে দিলেন অধিকাংশ টাকা, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লেন এবং গ্রেফতারও হয়েছিলেন। শেষ বয়সে এসে নিজেকে শান্ত করেছেন টাইসন।
advertisement
ক্লান্ত অবসন্ন মাইক টাইসন মনে করছেন এবার তার রিং ছাড়ার সময় এসেছে। হটবক্সিংয়ে টাইসন বললেন প্রত্যেককেই কোনো না কোনো সময় ইহলোক ত্যাগ করতে হয়, নিজেকে আয়নায় দেখে এখন তারও সময় হয়ে এসেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করছেন টাইসন। এই বয়সে এসে তার অর্থের প্রতি মোহমায়া কেটে গেছে।
তিনি বলছেন অর্থ তার কাছে আবর্জনার থেকেও মূল্যহীন। কোটিপতি হওয়ার পরেও তার স্ত্রীয়ের সাথে অর্থ নিয়ে ঝগড়া হয় তার প্রায়ই। টাইসন বললেন, তিনি সবসময় মানুষকে বলেন - অর্থ তোমায় তখনই খুশি করবে যখন তোমার কাছে অর্থ থাকবে, তুমি ধনবান হয়ে গেলে কারোর থেকে আর ভালোবাসা পাবে না... তুমি যদি মনে করো অনেক টাকা থাকলে তুমি সবথেকে ক্ষমতাশালী তাহলে তুমি ভুল ভাবছ।
টাইসনের তৃতীয় স্ত্রী লাকিহা স্পাইসার ভাবেন টাইসন মারা গেলে তার অর্থ অনেক সুরক্ষা দেবে তাদের। কিন্তু টাইসন মনে করেন অর্থ সুরক্ষা দিতে পারে না। তিনি বলছেন, ব্যাংকে টাকা রাখলে সেখান থেকে প্রতি মাসে মোটা চেক পাবে যা দিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারবে, সেটা সুরক্ষা?
তুমি কোনো রোগে অসুস্থ হতে পারো, গাড়ির তলায় চাপা পড়তে পারো। টাকা তোমায় কোন সুরক্ষা দেবে যখন তুমি ব্রীজ থেকে নীচে ঝাঁপ দিতে বাধ্য হবে। মাইক টাইসন যখন তার যৌবনে এবং কেরিয়ারের চূড়ান্ত স্থানে ছিলেন তখন সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিলেন, তার মধ্যে বাস করত পাশবিক শক্তি এবং ক্রোধ। যে ক্রোধের বসে তার শেষ ম্যাচে ইভান্ডার হোলিফিল্ডের কান কামড়ে করে নিয়েছিলেন।
