আট বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। প্রথম ১০ ওভারে ১০০ পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে সহজ ক্যাচ মিস করেন রাহুল এবং অক্ষর। কিন্তু ১২ ওভারে উমেশ পরপর আউট করেন স্মিথ এবং ম্যাক্সওয়েলকে। কিন্তু এরপর ম্যাথু ওয়েড এবং টিম ডেভিড টেনে নিয়ে যেতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। জঘন্য বল করলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ডেথ ওভারে জলের মতো রান দিলেন।
advertisement
প্রায় একই অবস্থা হর্ষল প্যাটেলের। উইকেট পেলেন না, প্রচুর রান দিলেন।১৮ ওভারে ২২ রান দিলেন তিনি। একের পর এক ওয়াইড করে গেলেন ভুবনেশ্বর। তিনিও আটকাতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ানদের। ভারত হারল। শেষের দিকের ওভার ভারত বিপক্ষকে আটকাতে পারে না আবার প্রমাণিত হল। রোহিত অবশ্য বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি। ১১ করে ফিরে গেলেন।
কিন্তু এরপর দেখার ছিল বিরাট কোহলি কতটা কি করতে পারেন। তিনিও দূরান করে ফিরে গেলেন। এলিসের বলে গ্রিনের হাতে ধরা পড়লেন। কিন্তু তুখোর ব্যাটিং করতে থাকলেন কে এল রাহুল। বুঝিয়ে দিলেন তাকে ওপেনিং থেকে সরানোর আলোচনা করাটা সময় নষ্ট মাত্র। দেখার মত কিছু শট খেললেন। টাইমিং ছিল দেখার মত।
আজ নিশ্চিত হয়ে গেল রাহুল ধীরে ধীরে নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন। ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। দেখে মনে হচ্ছিল আজ জবাব দিতে নেমেছেন রাহুল। তবে হঠাৎ করেই গতির পরিবর্তে হাজলউডের বলে আউট হয়ে গেলেন। অন্যদিকে সূর্য কুমার যাদব যথেষ্ট ভাল পারফরম করলেন।
চার নম্বর জায়গাটা বিশ্বকাপে তার জন্য প্রমাণ করে দিলেন সূর্য। বুদ্ধি করে ব্যাট করলেন। শক্তির প্রয়োগ ঘটালেন প্রয়োজন বুঝে। ২৫ বলে ৪৬ করলেন দেখার মতো ভঙ্গিতে। মারলেন দুটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি। ৪৬ করে ফিরে গেলেন গ্রিনের বলে। বাকিটা হার্দিক পান্ডিয়া নিজের মারকুটে ব্যাটিং এর প্রমাণ রাখলেন। ওয়াডে অপরাজিত থেকে গেলেন ৪৫ রানে। চার বল বাকি থাকতেই জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।