আরও পড়ুন - Viswanathan Anand : এবার প্রশাসকের ভূমিকায় আসছেন বিশ্বনাথন আনন্দ! দাবা অলিম্পিয়াড ভারতে
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন নিজে বাংলার এই বিপর্যয় তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। সেই ১৯৮৯ প্রথম এবং শেষ বার ভারতসেরা হয়েছিল বাংলা। অরুণ লাল, সংবরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণ সৌরভদের হাত ধরে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। অশোক বলছিলেন তার পর থেকে অন্তত পাঁচবার চ্যাম্পিয়ান হওয়ার মতো সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি বাংলা।
advertisement
সমস্যাটা কোথায়? অশোক মনে করেন লিগ পর্যায় বাংলা যে দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে, নকআউট পর্বে এসে বিশেষ করে কোয়াটার ফাইনাল পর্ব থেকে বড্ড বেশি চাপ নিয়ে নেয়। অতীতে সৌরাশিস, রণদেব, লক্ষ্মীরতন, অশোক দিন্দাদের সময়তে সেটা হয়েছে। এবারেও তাই।
স্কিল এবং যোগ্যতা বাংলা ক্রিকেটারদের কম নেই। সমস্যাটা মানসিক এবং সঠিক তেম্পেরামেন্ট না থাকার। বাংলার আর এক প্রাক্তন কোচ ডব্লিউ বি রমন মনে করেন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে টস হেরে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু তারপর মনোজ এবং শাহবাজ যেভাবে সেঞ্চুরি করেছেন, তাতে বাকিদের আরো ভাল পারফর্ম করা উচিত ছিল।
অভিষেক পড়েল এবং সায়ন মণ্ডল নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মনে করেন রমন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলার বর্তমান কোচ অরুণ লাল কি দায়িত্বে থাকবেন? অরুণ লাল নিজে এই নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি সিএবি কর্তাদের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছেন। তবে বাংলার এই হার ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে আঘাত বটেই।
বিশেষ করে এবার যেভাবে দুরন্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছিল বাংলা, তাতে মধ্যপ্রদেশের কাছে তাদের হেরে যাওয়াটা অবাক করার মত। কিন্তু দিনের শেষে এটাই ক্রিকেট। মহান অনিশ্চয়তার খেলা।