গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও লাইমলাইট তার জন্য নয়। ভারতীয় দলে সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে ভাবাই হয় না। লাল বলের ক্রিকেটে এখন তিনি ব্রাত্য। বাংলা দলের হয়ে রঞ্জিতে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ঋদ্ধিমান সাহার উপরেই আইপিএল ফাইনালে ভরসা রাখছে গুজরাত টাইটান্স। প্রথম বার আইপিএল খেলতে নেমেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে গুজরাত।
advertisement
সেই দল যদিও নিলামে প্রথমে উইকেটরক্ষক নিতেই ভুলে গিয়েছিল। পরে ঋদ্ধিমানকে যেমন নেয়, তেমনই পেয়ে যায় ম্যাথু ওয়েডকে। শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষককে প্রথম একাদশে রাখলেও, ঋদ্ধিমান সুযোগ পেতেই নিজেকে প্রমাণ করেন। ওপেনার এবং উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন। ১০টি ম্যাচ খেলে ৩১২ রান করেন ঋদ্ধি।
এখনও বাকি ফাইনাল ম্যাচ। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঋদ্ধি সম্পর্কে ডেভিড মিলার বললেন, আমাদের দলের শক্তি ঋদ্ধিমান। খুব বেশি কথা বলে না, কিন্তু নিজের কাজটা ঠিক করে দেয়। ওপেনার হিসাবে খেলতে নেমে আমাদের উপর থেকে চাপটা কমিয়ে দেয়। আশা করব আরও একটা ম্যাচ ও ভাল খেলবে।
ঋদ্ধিমানও অপেক্ষায় আর একটি ম্যাচের। গুজরাতে খেলার কারণে মোতেরা স্টেডিয়ামকেই তিনি ঘরের মাঠ বলেছিলেন। সেই মাঠেই আইপিএলের ফাইনাল। এই ম্যাচের পর ফের কবে তাঁকে খেলতে দেখতে পাওয়া যাবে তা স্পষ্ট নয়। পরের বছর আইপিএলের জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হবে ঋদ্ধি ভক্তদের।
ঋদ্ধিমান জানেন এই ফাইনালের দিকে কোটি কোটি ভারতবাসীর চোখ থাকবে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ইডেনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে তাঁর নিজের ঘরের মাঠ আমেদাবাদে শেষ বারের জন্য এবারের আইপিএলে জ্বলে উঠতে চাইবেন বাংলার ঘরের ছেলে।