বাংলা ক্রিকেট মহল তাকে সব্যসাচী বলে ডাকে কারণ তার দুহাত বোলিংয়ে সমানভাবে করতে পারেন। আরেকটু সহজ করে বললে লেফট আর্ম স্পিনার হিসেবে পরিচিত কৌশিক একইভাবে ডান হাতে অফ স্পিন বোলিংও করতে পারেন। বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট অর্থাৎ লিস্টে এ-তে একইভাবে বল করে বাংলাকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অন্যতম ভরসা কৌশিক।
advertisement
২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিগত দুবছর আইপিএলের নিলামে তালিকাভুক্তও ছিলেন। বেশ কয়েকটি ফ্রাঞ্চাইজিদের ট্রায়ালও দিয়েছেন। তবে আইপিএলে কোন দল না পেলেও, এবার সরাসরি ভারতীয় দলের জায়গা হয়ে গেল বাংলা ক্রিকেটের সব্যসাচী কৌশিক মাইতির। এতক্ষণ আপনাদের পড়ে মনে হতেই পারে, বাংলার হয়ে রনজিতে এখনও না খেলা ক্রিকেটার কী করে টেস্ট ম্যাচ ভারতীয় দলের সুযোগ পেলেন?
আসলে ঘটনা হলো, ভারতীয় ক্রিকেট দল একজন ফিল্ডার হিসেবে স্থানীয় ক্রিকেটার চেয়েছিল। সেই কারণেই কৌশিক মাইতিকে সিএবির পক্ষ থেকে ভারতীয় দলকে দেওয়া হয়েছে। টেস্ট ম্যাচে প্রয়োজনে ফিল্ডিং করবেন। তবে এই ম্যাচে ফিল্ডিং করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হবে না। কারণ একজন ফিল্ডার হিসেবেই দলের সঙ্গে তিনি রয়েছেন। আসলে নীতিশ কুমার রেড্ডিকে ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলার জন্য ছেড়ে দেওয়ার ফলে স্কোয়াডে একজন ক্রিকেটার কম রয়েছে। এই জায়গাতেই নেওয়া হল কৌশিককে।
আচমকা এই সুযোগ পেয়ে আপ্লুত কৌশিক। আকাশদীপের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে বাংলায় খেলার জন্য। তবে সুযোগ পেলে বাকিদের থেকে অনেক কিছু শিখতে চান। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ , কোচ গম্ভীরের থেকে নিতে চান প্রয়োজনীয় পরামর্শ। পছন্দের ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার থেকে নেট চলাকালীন বোলিং সম্পর্কে পরামর্শ নেবেন বলে ঠিক করেছেন। পাশাপাশি যেহেতু নিজে অফ স্পিন বোলিং করেন সেই কারণে ওয়াশিংটন সুন্দরকে পেলেও মূল্যবান পরামর্শ নেবেন কৌশিক।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে আগামী পাঁচ দিন থাকার সুযোগ কোনভাবেই এক মুহূর্ত নষ্ট করতে নারাজ কৌশিক। এর আগে শেষবার যখন খেলা হয়েছিল ইডেনে তখন বাংলার ক্রিকেটার পঙ্কজ সাউ একইভাবে দলের ফিল্ডার হিসেবে সঙ্গে ছিলেন। অতীতের সচিন তেন্ডুলকার পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হয়ে ফিল্ডিং করেছেন।
আরও পড়ুনঃ Mohammed Shami: আইপিএল নিলামের আগে শামির জন্য বড় খবর! তারকা পেসারকে দলে নিতে লড়াইয়ে ২ দল
সব মিলিয়ে কৌশিক এইরকম সুযোগ পেয়ে আপ্লুত। কৌশিকের স্বপ্ন, দক্ষিণ আফ্রিকার কোন ক্রিকেটারের আউট এর পেছনে যেন তার অবদান থাকে। ক্যাচ কিংবা রান আউট করতে পারলে ভারতীয় দলের স্কোর বোর্ডে ওর নাম উঠবে অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে। পাশাপাশি নিজেকে উন্নতি ঘটিয়ে বাংলা দলের নিয়মিত হতে চান কৌশিক।
