আরও পড়ুন - East Bengal : চলে এলেন লিমা, প্রতিভাবান ফুটবলার হিমাংশুকে সই করাল ইমামি ইস্টবেঙ্গল
আর সেকথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলা দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লকে পাশে বসিয়ে রমনের দাবি লম্বা মরশুমে নিজেদের 'ইন্টেনসিটি' বা বলা ভাল খেলার 'তীব্রতা' ধরে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত রঞ্জি ট্রফির শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে বাংলার দুর্ভাগ্য যেন কাটতেই চাইছে না।
advertisement
আগের মরশুমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েও কার্যত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বাংলা ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। তার আগের মরশুমে করোনার কারণে খেলাই হয়নি রঞ্জি। সেই মরশুমের আগে ২০১৯-২০ মরশুমে বাংলা ফাইনালে পৌঁছলেও হেরেছিল সৌরাষ্ট্রের কাছে। সেবার প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকার কারণে হারতে হয়েছিল তাদের।
এবার সমস্ত ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর তারা। সেই কারণেই দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন রমন। পাশাপাশি নয়া কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লও। বাংলা দলের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পরে রমন জানিয়েছেন বাংলাতে প্রচুর ট্যালেন্ট রয়েছে। যা দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমি নিশ্চিত ছেলেরা খুব ভাল ফল করবে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন, হতে পারে যে ওরা। হয়ত নিজেদের প্রস্তুতির জন্য সঠিক সময়টা পাচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ হতে পারে কোভিডের কারণে ম্যাচ সংখ্যাও অনেকটা কমে গিয়েছে।
তাই দীর্ঘ মরশুমে সাফল্য পেতে গেলে নিজেদের খেলার 'তীব্রতা'কে ধরে রাখতে পারাটাই আসল। পাশাপাশি ফিটনেসটাও ধরে রাখতে হবে। লক্ষী রতন অবশ্যই জানিয়েছেন শারীরিকভাবে ক্রিকেটারদের বুট ক্যাম্পের মাধ্যমে শক্তিশালী করে তুলতে চান তিনি।
তার জন্য রমনের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন। পাশাপাশি ঋদ্ধিমান সাহা এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বাংলা ছেড়ে গেলেও তাদের অভাব বোধ হবে না মনে করেন লক্ষী।