তবে এ লড়াই ভোটের ময়দানে নয়। ভোটের সঙ্গে কোনও সম্পর্কও নেই। আসলে লড়াই ছিল ক্রিকেটের বাইশ গজে। বিসিসিআই পরিচালিত একদিনের টুর্নামেন্ট অর্থাৎ বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাতের বিরুদ্ধে রাজকোটে খেলতে নেমেছিল বাংলা ক্রিকেট দল।
নক আউটের এই ম্যাচে একতরফা জয় পেল বাংলার ছেলেরা। ম্যাচের নায়ক সুদীপ ও অনুষ্টুপ। দুজনের ব্যাটে ভর করে সদ্য ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলে ফেরা অক্ষর প্যাটেলদের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জিতল লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা।
advertisement
আরও পড়ুন- এই ডিপার্টেমেন্ট ঢেলে সাজাবে, আইপিএল নিলাম কেকেআর টেবল থেকে উড়বে
শুধু জিতল নয়, গুজরাতের মতো শক্তিশালী দলকে রীতিমতো ল্যাজে-গোবরে করে জয় বাংলার। গ্রুপ পর্যায়ে রান রেটে সবার থেকে এগিয়ে থাকলেও টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর সঙ্গে পয়েন্ট সমান সমান থাকা সত্ত্বেও রানার্স হয় বাংলা।
আসলে দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকার ফলে মুখোমুখি সাক্ষাতে যে দল জিতেছিল সেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। সেরা রানার্স দল গুলোকে খেলতে হল প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত ও বাংলা।
ভারতীয় এ সফর এবং সিনিয়র দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকায় বাংলার তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার নক আউট পর্ব খেলতে পারছেন না। দুই ফাস্ট বোলার মুকেশ কুমার ও আকাশদীপ দক্ষিণ আফ্রিকায়। অভিমুন্য ঈশ্বরণও এ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার না থাকলেও গুজরাতের বিরুদ্ধে দাপট দেখাল বাংলা। টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। বাংলা জার্সিতে এদিন অভিষেক করেন জোরে বোলার সুমন দাস।
আরও পড়ুন- কে জিতবে টাটা স্টিল কলকাতা ২৫কে ? কার্তিক, গোপী তামসিদের উপরই সব নজর
প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল, উরভি প্যাটেলদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলার ছেলেরা। রাজকোটের পাটা উইকেটে তিনশো রানের মধ্যে গুজরাতকে আটকে রাখতে সক্ষম হয় বাংলার বোলাররা। প্রিয়ঙ্ক সেঞ্চুরি করলেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান তোলে গুজরাত।
হাফ সেঞ্চুরি করেন সৌরভ চৌহান। শেষদিকে উমাঙ্গ কুমার ৬৫ রান করেন। তবে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা উমাঙ্গকে রান আউট করেন করণলাল। খেলার শুরুতে উরভিকেও দুরন্ত রান আউট করেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ।
রান তাড়া করতে নেমে এক রানের মধ্যে হাবিব গান্ধীকে হারালেও বাংলার হাল ধরেন কাপ্তান সুদীপ ঘরামি ও অভিষেক পোড়েল। আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলা অভিষেক ৪৭ রানে আউট হলেও বাংলাকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যায় সুদীপ আর অভিজ্ঞ অনুষ্টুপের চওড়া ব্যাট।
দুজনেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করে বাংলাকে জয় এনে দেন চার ওভার বাকি থাকতেই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার পর এদিনও একশো ১০২ রান করেন ৪০ বছরে পা দিতে চলা বাংলার পরিত্রতা রুকু। টুর্নামেন্টে ভালো খেললেও বড় রান পাচ্ছিলেন না অধিনায়ক সুদীপ। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অপরাজিত ১১৭ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ঘরামি।
সুদীপ ও অনুষ্টুপ ২০৯ রানের জুটিতে গুজরাতকে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা পাকা করে নিল বাংলা। অক্ষর প্যাটেলের মতো ভারতীয় তারকা বাংলার তরুণ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে কোনও উইকেটে পেলেন না। ১০ ওভারে ৪৩ রান দিলেন। ব্যাট হাতেও ব্যর্থ তিনি। সোমবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ হরিয়ানা। চাহালদের বিরুদ্ধে নামবে বাংলা দল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F