এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে নারাজ দলের নতুন কোচ লক্ষ্মী। কোচ হবার পর কয়েক দফায় সিএবি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ আগস্টের শুরুতেই অনুশীলন শুরু করতে চাইছেন প্রাক্তন এই ভারতীয় তারকা। শুরু থেকেই নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে এক ছাতার তলায় অনুশীলন শুরু করতে চান তিনি। তাই ইডেনে নয়, বাংলার নয়া হেড কোচ চাইছেন কল্যাণীতে সিএবির অ্যাকাডেমিতে রয়েছে সেখানে গিয়ে অনুশীলন করতে। আবাসিক শিবিরের ধাঁচে সপ্তাহ দুয়েক অনুশীলন করতে চান লক্ষ্মী।
advertisement
ক্রিকেটাররা যাতে মরশুমের শুরুতেই নিজেদের মধ্যে যাতে বন্ডিং তৈরি করতে পারেন সেটাই লক্ষ্য প্রাক্তন মন্ত্রীর। লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানান, "আমি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জি সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে কল্যাণী মাঠ কিভাবে প্রস্তুতির জন্য আমরা পেতে পারি। কল্যাণীতে সুবিধা হচ্ছে ক্রিকেটারদের একসঙ্গে রেখে ইনডোর-আউটডোর ট্রেনিং করানোর সুযোগ থাকবে। জিম এবং সুইমিং পুল থাকায় সুবিধে হবে।"
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেও স্বর্ণপদকের আশা ছাড়ছে না ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল
সিএবি কর্তারাও লক্ষ্মীর পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে চাইছেন। অনুশীলনের প্রথম কয়েকদিন হয়তো সল্টলেক যাদবপুরের মাঠে কিংবা ইডেনে অনুশীল করে কল্যাণী শিবির শুরু করা হবে। আগামী মাসের শেষে পন্ডিচেরিতে আয়োজিত হতে চলেছে সিএবির টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। তবে লক্ষ্মীরতন শুক্লা
আগামী সপ্তাহে অনুশীলনে নেমে পড়লেও দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডব্লিউ ভি রমন কবে আসবেন এখনো চূড়ান্ত নয়। যদিও মরশুম শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করবেন রমন। বছরে ৫০ দিন কাজ করবেন প্রাক্তন বাংলার কোচ। সারা বছর দলের সঙ্গে না থাকলেও কোচের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
এদিকে বাংলা দলের বোলিং কোচের নাম ঘোষণা না হলেও হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা শিবশঙ্কর পালকেই চেয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে লক্ষ্মীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আবাসিক শিবিরের মাধ্যমে বেশ কিছু নতুন মুখ দেখে নিতে চান লক্ষ্মী। তাই ক্লাব ক্রিকেটে ৩৭-৩৮ বছরের বয়সি ক্রিকেটাররা পারফর্ম করলেও তাদেরকে হয়তো ডাকা হবে না। তবে মনোজ, অনুষ্টুপদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছেন লক্ষ্মী। প্রত্যেকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে সারা বছরের রুট ম্যাপ তৈরি করতে চান "খারুশ" লক্ষ্মী।