ঋদ্ধিমান সাহা, একজন কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। তাকে একটি সাক্ষাত্কারের জন্য জিজ্ঞাসা করা বার্তাগুলির উত্তর না দেওয়ার জন্য একজন সিনিয়র সাংবাদিকের দ্বারা হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিসিসিআই সাহার সাথে যোগাযোগ করে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিসিসিআইয়ের তরফ সে জানানো হয়েছে তদন্ত নিরপেক্ষভাবে হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
advertisement
সেই সাংবাদিক যতই বড় হোন, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে হুমকি দিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন সেটা বের করা বোর্ডের দায়িত্ব। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়র ওপর আগেই রবি শাস্ত্রী এবং বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটার এই তদন্ত দাবি করেছেন। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা সেটা অবশ্য আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।
সূত্রের খবর অসুবিধা বাড়তে পারে ঋদ্ধির। এই বিষয়ে বিসিসিআই তাকে প্রশ্ন করতে পারে। আসলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে টার্গেট করেছিলেন সাহা। তিনি প্রকাশ করেছিলেন যে দ্রাবিড় তাকে অবসর নিয়ে ভাবতে বলেছিলেন। সেই বিষয়টি এখন সাহার জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ তিনি বিসিসিআই-এর কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং তাঁর বক্তব্য প্রটোকল লঙ্ঘন করেছে।
খেলোয়াড়দের দ্বারা স্বাক্ষরিত বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তিতে একটি ধারা 6.3 রয়েছে (সাহা 3 কোটি টাকা বার্ষিক রিটেনারশিপ সহ গ্রুপ বি-তে রয়েছেন), যা ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছিলেন।দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই বলেছেন যে সাহার কথায় তিনি আঘাত পাননি। কারণ তিনি চাননি সাহা এসব কথা মিডিয়া থেকে জানুক।
এটি একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন ছিল এবং সাহা আহত হলেও তার চুপ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু শুধু ঋদ্ধিমান একা নন। তার বাদ পড়া নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী পর্যন্ত সৌরভকে অনুরোধ করেছিলেন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে। বোর্ডের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহার কোচ জয়ন্ত মজুমদার।