আরও পড়ুন - East Bengal : শুধু আইএসএল নয়, নতুন বছরে লিগ এবং ডুরান্ড কাপ টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের
কিন্তু সেই ভুল করতে রাজি নয় বসুন্ধরা কিংস। একাধিক বিদেশি ফুটবলার রয়েছে দলে। ব্রাজিলের রবিনহো, জাম্বিয়ার নুহা, ইরানের খালেদ শফি, ব্রাজিলের মিগুয়েল রয়েছেন দলে। এছাড়াও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া আফ্রিকান ফুটবলার এলিটা কিংসলে দলের সম্পদ। বিপ্লব আহমেদ, তারিক কাজি, মতি মিয়ার মত বাংলাদেশের জাতীয় দলের ফুটবলার আছে।
advertisement
এর আগে মালদ্বীপের মাটিতে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেছিল বসুন্ধরা। এগিয়ে গিয়েও সেদিন জয় আসেনি। ডেভিড উইলিয়ামস হার বাঁচিয়েছিলেন সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। এবার কিন্তু কলকাতার মাঠ থেকে জিতেই ঢাকায় ফিরতে চান বসুন্ধরার ফুটবলাররা। কোচ অস্কার ভারতীয় ফুটবলে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। চার্চিল ব্রাদার্স এর দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন তার কাছে এটিকে মোহনবাগান শক্তিশালী দল হলেও, কেরলের গোকুলাম বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ। কয়েকদিন আগেই তারা আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দীর্ঘদিন হারেনি। অস্কারের এই বক্তব্য এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ হুয়ানের কানে গিয়েছে কিনা জানা নেই। তবে তিনি রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, তিরি, জনিদের নিয়ে জোরদার প্রস্তুতি করছেন।
মনবির, সন্দেশ, লিস্টন, প্রবীর দাসরা ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বসুন্ধরাকে হারাতে মরিয়া। বসুন্ধরা কলকাতার মাঠে এসে এটিকে মোহনবাগানকে হারানোর চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে, এটাই সবুজ মেরুন ফুটবলারদের কাছে মোটিভেশন। দর্শক ভর্তি থাকবে গ্যালারিতে। সমর্থনের অভাব হবে না মোহনবাগানের।
কিন্তু মাঠে নেমে ফুটবলটা খেলতে হবে ফুটবলারদের। যদিও বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দলের চ্যালেঞ্জের পাল্টা কিছুই বলতে রাজি হননি এটিকে মোহনবাগান ম্যানেজার। মুখে নয়, জবাবটা হয়তো মাঠেই দিতে চাইবেন তিনি।
বসুন্ধরার গতি এবং প্রেসিং ফুটবল আটকাতে পাসিং ফুটবল এটিকে মোহনবাগানের। পাসের ফুলঝুরি ছড়িয়ে বিপক্ষকে ঘায়েল করতে চান কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসরা। কলকাতার বুকে দুই বাংলার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে শেষ হাসি হাসে সেটাই দেখার।