ওই অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, আমরা চাই রবি হাঁসদা পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর হোক। ব্লকে ব্লকে যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি আছে সেগুলি ঘুরে দেখে প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করুক। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মুশারু গ্রামের এক অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে রবি। ওর বাবা-মা দিনমজুরি করে রবিকে বড় করে তুলেছেন। তার খেলার খরচ জুগিয়েছেন। সেই রবি হাঁসদা আজ সবার নয়নের মণি। ওর করা একমাত্র গোলেই হায়দরাবাদে কেরলকে হারিয়ে এবার সন্তোষ ট্রফি জয় করেছে বাংলা। শুধু চাম্পিয়ান করাই নয়, বারোটি গোল করে সন্তোষ ট্রফির সেরা গোলদাতা রবি।
advertisement
আরও পড়ুন- ১১ জনের মৃত্যু এক মিনিটে! কড় কড় শব্দে মাঠে পড়ে বাজ, ভয়ঙ্কর ‘কালাজাদু’!
কলকাতায় দল ফিরতেই তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। এবার জেলার পক্ষ থেকে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হল। খুবই দরিদ্র পরিবারের বড় হয়ে ওঠা রবির। দুবেলা দু মুঠো খাবার জোগাড় করতেও একসময় হিমশিম খেতে হয়েছে রবির পরিবারকে। পরের জমিতে কাজ করে ছেলের খেলার খরচ জুগিয়েছেন রবির বাবা। ছমাস হল গত হয়েছেন রবির বাবা সুলতান হাঁসদা।
আরও পড়ুন- আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় দলে মহাচমক! কে থাকবে আর কে বাদ?
মাটির ঘর। সেখানেই থরে থরে সাজানো নানান পুরস্কার। দশ বছর বয়স থেকেই ফুটবল খেলার তীব্র ঝোঁক দেখা যায় রবির মধ্যে। তাঁকে উৎসাহ দিতেন বাবা। চাইতেন, ছেলে একদিন বিরাট ফুটবলার হবে। তাঁকে নিয়ে গর্ব করবে সবাই। আজ রবির নাম সকলের মুখে মুখে ফিরছে। সন্তোষ ট্রফি জিতে কলকাতা হয়ে বাড়ি ফিরেছেন রবি। তাঁকে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন গ্রামের সকলে। রবির সাফল্যে গর্বিত তাঁরাও। রবি জানান, কলকাতায় মোহনবাগানের হয়ে খেলতে চান তিনি। সেইসঙ্গে খেলতে চান ভারতীয় দলে।