সব মিলিয়ে রান তাড়া করে পঞ্চমবার টেস্ট জিতল বাংলাদেশ, এ সংস্করণে এটি তাদের ১৭তম জয়। আর ২০১৯ সালের পর প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামা আইরিশরা পেল এ সংস্করণে টানা চারটি ম্যাচ হারের স্বাদ। ১৩১ রানে এগিয়ে থেকে সকালে ৯ ওভার ব্যাটিং করলেও আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৬ রান যোগ করতেই শেষ ২ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
advertisement
দুটি উইকেটই নেন ইবাদত। ৯ উইকেট নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে হয় তাই তাইজুল ইসলামকে। দ্বিতীয় দিনই শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল এই টেস্ট, আয়ারল্যান্ড ছিল ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায়। গতকাল লরকান টাকারদের ব্যাটিংয়ে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই আয়ারল্যান্ডই একটু হলেও চাপে ফেলে টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১৩৮ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি তারা, মুশফিকুর রহিমরা সেটি চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসে তাড়া করে ফেলেছেন ৭ উইকেট বাকি রেখেই।
রান তাড়ায় নেতৃত্ব দেন মুশফিক, প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবার তিনি অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে।রানতাড়ায় তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসেন লিটন। ডান এবং বাঁহাতি কম্বিনেশনে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুশফিক নেমে অবশ্য আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই করেন। মমিনুল হক অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্রিকেটকে তার এখনও কিছু দেওয়ার আছে প্রমাণ করলেন মুশফিক। আজ অবশ্য আইপিএল খেলতে না যাওয়ার ভিন্ন একটি কারণের কথাই সাকিব বললেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে। আইপিএলে না যেতে পেরে মন খারাপ হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, নাহ ।
অবশ্যই ভাল একটা সুযোগ ছিল। বিশ্বকাপের বছর, ভারতে বিশ্বকাপ খেলা। যদি যেতে পারতাম, তাহলে ভাল লাগত। কিন্তু যেহেতু ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি তো ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি। কিন্তু ঠিক কি ধরনের ইমারজেন্সি সেটা ব্যাখ্যা করেননি সাকিব আল হাসান।