মোহনবাগান সমর্থকরা এসে তার সঙ্গে ছবি তুলে যাচ্ছিলেন। কেউ জড়িয়ে ধরছিলেন। ছেলেকে বাইচুং বোঝাচ্ছিলেন এই ক্লাবের জার্সিতে ডার্বিতে তিনি ছটা গোল করেছেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলে বেশি খেলেছেন তবুও মোহনবাগানের সাফল্য চাইবেন না পাহাড়ি বিছে এমনটা হতে পারে না।
আরও পড়ুন - বাংলাদেশ এবার বাঘ, ব্রিটিশ সিংহকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা উপহার টাইগারদের
advertisement
হুয়ান ফেরান্ডোর দল ঘরের মাঠে আরও বেশি ফুটবল খেলবে ভেবেছিলেন তিনি। বাইচুং জানিয়েছেন মোহনবাগানের খেলায় বল দখলে রাখার ব্যাপারে শক্তি থাকলেও এবং ডিফেন্স ভাল হলেও আক্রমণ তার পছন্দ হয়নি। তার আর্জি ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে হারাতে হলে আর একটু আক্রমাত্মক হতে হবে। বিপক্ষ দলে কৃষ্ণ, সুনীল, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তারকা রয়েছে তাদের বেশি আক্রমণ করতে দিলে উল্টে বিপদ হতে পারে।
তাই দিমিত্রি, হুগো, লিস্টন, মনবীরদের শনিবার শুরু থেকেই টপ গিয়ারে থাকার উপদেশ দিচ্ছেন বাইচু। আক্রমণ ডিফেন্সের সেরা অস্ত্র এটাই বিশ্বাস করেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে গুটিয়ে থেকে নয় সাহস দেখিয়ে খেলতে হবে। তবে বাইচুং আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান নিজেদের মেলে ধরতে পারলে এবং সুযোগ অপচয় না করলে গোয়াতে শনিবার জিতবে তারাই।
বেঙ্গালুরু দুর্ধর্ষ ভাবে কামব্যাক করেছে। শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় এসে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে গিয়েছে। তবে অভিজ্ঞতা এবং ফুটবল বুদ্ধি থেকে বাইচুং মনে করেন ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার টার্গেট রাখতে হবে। সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে সবুজ মেরুনকে আরও দক্ষ হতে হবে।
বেঙ্গালুরু দলে মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন তারকা রয়েছে। তারা মরিয়া হবে ফাইনালে সবুজ মেরুনকে হারিয়ে প্রাক্তন ক্লাবকে জবাব দিতে। অন্যদিকে প্রীতম, মনবীর, আশিষ রাইদের একটাই লক্ষ্য হবে ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করা এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরা। সুনীল ছেত্রীকেও চোখে চোখে রাখতে হবে জানিয়ে দিয়েছেন বাইচুং।