শেষবারের মতো স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-২০ খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ২৪ জুন, ভারতের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ার গ্রোস আইলেটে। ঐ ম্যাচে তিনি ৪৫ রান দিয়েছিলেন চার ওভারে। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের মধ্যে স্টার্ক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, আর সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
স্টার্ক জানান, টেস্ট ক্রিকেট তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলায় মনোযোগ দিতে চান। তিনি বলেন, “আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা প্রতিটি টি-২০ মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ২০২১ সালের বিশ্বকাপ জয়। তবে নিজেকে দীর্ঘদিন ফিট ও কার্যকর রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।”
advertisement
এছাড়াও স্টার্ক জানিয়েছেন, “আগামী দিনে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সফর, অ্যাশেজ সিরিজ এবং ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপে নিজেকে ফিট ও সতেজ রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাকি বোলারদের প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতেও এটি প্রয়োজন।”
টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে স্টার্ক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তার পারফরম্যান্স ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ Asia Cup 2025: একটি জায়গা নিয়ে জোর লড়াই! এশিয়া কাপে ভারতীয় দলে কে পাবে সুযোগ?
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, “স্টার্কের উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা যেকোনো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিত। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার হিসেবে স্মরণীয় থাকবেন।”
স্টার্কের এই সিদ্ধান্তে অস্ট্রেলিয়া এখন নতুন পেস আক্রমণ গঠনের দিকে এগোবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য। তবে তিনি আইপিএল ও অন্যান্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলবেন বলে জানিয়েছেন।