ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৮৬ রান, অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট
#অ্যাডিলেড: আশ্চর্যজনক কিছু না ঘটলে অ্যাডিলেড টেস্ট জিতে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। সুযোগ তৈরি করেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের ধারাবাহিকভাবে চাপে রাখতে না পারার ইংল্যান্ড বোলিংয়ের ব্যর্থতা ও ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা প্রথম টেস্টের মত চলতি টেস্টেও তাদের নিশ্চিত হারের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রবিবার চতুর্থ দিনে ৪৫/১ থেকে খেলা শুরু করে ৫৫ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
advertisement
প্রথমে মাইকেল নেসের ৩ রানে, এরপর বাটলারের ধরা এক দুর্ধর্ষ ক্যাচে ২৩ রানে মার্কাস হ্যারিস ও বাটলারেরই আরেকটা দারুন ক্যাচে স্টিভ স্মিথ মাত্র ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অস্ট্রেলিয়ার লিড তখন ২৯২ রানের। ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার সামান্য আশার আলো যখন দেখা যাচ্ছে তখন ক্রিজে নেমেই ট্র্যাভিস হেড পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেন।
ওকস, রবিনসন, স্টোকস,রুটের বলে একের পর এক চোখধাঁধানো শট খেলে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন তিনি। নৈশভোজের আগে শেষ ৪ ওভারে ৩৫ রান তুলল অস্ট্রেলিয়া। মূলত হেডের সৌজন্যেই ৫৫/৪ থেকে নৈশভোজের বিরতিতে ১৩৪/৪ এ পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। তখনই ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার ক্ষীণ আশাও শেষ হয়ে গেল। নৈশভোজের বিরতির পর ওলি রবিনসনের বল বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে লং লেগে স্টোকসের হাতে বন্দী হয়ে মাত্র ৫৪ বলে ৫১ রান করে ফিরে যান হেড।
হেডকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়া মার্কাস লাবুশেনও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। ডেভিড মিলানের বল বাউন্ডারি পার করতে গিয়ে সেই স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫১ রানে ফিরে যান লাবুশেন। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ ক্যামেরুন গ্রিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রান করে দলকে আরো শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে দিলেন। স্টার্ক করেন ১৯ রান।
২৩০ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্মিথ। ৪৬৮ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করার থেকে ম্যাচ বাঁচানোই লক্ষ্য ছিল ইংল্যান্ডের। শুরুতেই রিচার্ডসনের বলে হামিদ ফিরে গিয়ে সেই চেষ্টা প্রথমেই ধাক্কা খায়। এরপর বার্নস ও মালানের মধ্যে একটি ভালো পার্টনারশিপ হয়। যখন তাদের দেখে মনে হচ্ছিল এদিনের দিনটা হয়তো তারা সামলে নেবেন তখনই নেসারের ভিতরে ঢুকে আসা বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান মালান।
এরপর সেই বাইরে যাওয়া বলে পুস করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বার্নস। শেষ ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে স্টার্কের বাইরে যাওয়া বল ব্যাটে লাগিয়ে কেরিকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অধিনায়ক রুট। এর সাথেই ইংল্যান্ডের কফিনে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন মিচেল স্টার্ক। স্টোকস, পোপ,বাটলার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা কতক্ষন অবধারিত হার বাঁচাতে পারেন সেটাই দেখার।