তিন বিদেশি হিসেবে থাকছেন স্লাভকো, গায়গো, পেত্রাতস। অর্থাৎ ডিফেন্স মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগের ৩ ফুটবলার। ডার্বি জিতলে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ রয়েছে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করার। হারলেও সেই সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে কেরলকেও হারতে হবে।
আরও পড়ুন - বাংলাদেশের কোন ফাস্ট বোলারকে দেখে প্রশংসায় সৌরভ? দিলেন পাওয়ার হিটিংয়ের পরামর্শ
advertisement
মোহনবাগান পয়েন্ট নষ্ট করলে এবং কেরল জিতলে, কেরলই মোহনবাগানকে টপকে চারে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে বিপক্ষের মাঠে গিয়ে প্লে-অফ খেলা ছাড়া উপায় থাকবে মোহনবাগানের। তবে ফেরান্দো জানিয়েছেন, লিগের অবস্থান নয়, ম্যাচ জেতাই তাঁর লক্ষ্য। সবুজ-মেরুন কোচের কথায়, প্লে-অফ বা লিগের পজিশন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না।
ম্যাচ জেতার দিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। গোল করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহরা আগের ম্যাচের ছায়া। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ম্যাকহিউও এই ম্যাচে নেই। ডার্বিতে গোল তা হলে কে করবেন? ফেরান্দো বললেন, রক্ষণ এবং আক্রমণ দুটো নিয়েই আমাকে সমান ভাবে ভাবতে হবে। ওরা গোল হয়তো পাচ্ছে না। কিন্তু ভাল খেলছে এবং যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে।
মোহনবাগান সমর্থকরা নিঃসন্দেহে চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনজন নির্ভরযোগ্য বিদেশি ছিটকে যাওয়ায়। তবে অভয় দিচ্ছেন কোচ হুয়ান। যারা হাতে আছে তারা যথেষ্ট দক্ষ। এই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাদের আছে। এখন দেখার কিয়ান, ফারদিন, রবি রানারা সুযোগ পেলে বড় ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন কিনা। লিস্টনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে এই ম্যাচে।
নিজের খারাপ ছন্দ কাটিয়ে এই গোয়ান ফুটবলার ডার্বিতে ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা এটাই দেখার। পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে না পারলেও কোনওমতে হেরে ফিরতে রাজি নন মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গলের হাতে বিদেশি বেশি থাকলেও মোহনবাগান সেরা ফুটবল তুলে ধরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে যাতে অন্তত শেষ ১৫-২০ মিনিট হুগোকে মাঠে নামানো যায়। একান্ত না পারলে কিছু করার নেই।