ওড়িশা ম্যাচের আগে তিনি জানান, ফুটবলারদের কাছে পরিস্থিতিটা বেশ চ্যালেঞ্জের। কোনও ম্যাচের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার পর তা স্থগিত হয়ে যাওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যের। আমাদের সঙ্গে তো পরপর তিনবার এমনটা হল। তবে পিছনে তাকিয়ে লাভ নেই। আপাতত ওড়িশার বিরুদ্ধে সেরাটা মেলে ধরাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। রবিবার মারগাও ফাতোরদা স্টেডিয়ামে ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল তুলে ধরে সবুজ মেরুন শিবির।
advertisement
৪-২-৩-১ ছকে দল নামিয়েছিলেন ফেরান্ডো। ছিলেন না সন্দেশ ঝিঙান। রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসো, মনবির সিং - রা মুহুমুহু আক্রমণ করছিলেন। ওড়িশা গোলরক্ষক আর্শদিপের ওপর প্রচুর চাপ ছিল। কিন্তু তাও প্রথমার্ধে গোল পায়নি সবুজ মেরুন। সব ঠিকঠাক হলেও, ফিনিশিং হচ্ছিল না। সদ্য প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মরণে কালো আর্মব্যান্ড পড়ে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমনাত্মক হল ওড়িশা। জেরী, সাহিল, নন্দকুমার, থইবা এবং জাভি হার্নান্দেজ বেশকিছু আক্রমণ তুলে আনলেন সবুজ মেরুন বক্সে। ৬০ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে প্রবীর দাসকে নিয়ে এলেন ফেরান্ডো। দীর্ঘদিন পর কিছুটা ফিটনেস সমস্যায় ভুগছিলেন কৃষ্ণ। এরপর দীপক তাংরিকে তুলে নিয়ে নামালেন লেনিকে। তাতেও কাজের কাজ হচ্ছিল না।
ওড়িশার আইজ্যাক, ক্রাঝনিকি মিডল করিডর বন্ধ করে দিয়েছিলেন মোহনবাগান ফুটবলারদের জন্য। রিটার্ন বল জিতছিল ওড়িশা। মোহনবাগানকে মরিয়া মনে হল না সেভাবে। যেন গোল খাব না, পেয়ে গেলে ভাল, এমন মানসিকতা দেখা গেল দ্বিতীয়ার্ধে।
রয় কৃষ্ণ উঠে যাওয়ায় বক্সের ভেতর যোগ্য ফিনিশার ছিল না। ডেভিড উইলিয়ামসকে ব্যবহার করা হল অনেক নিচ থেকে। ৮৩ মিনিটে গোল করে দিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। অল্পের জন্য অফ সাইডে বাতিল হয়। না হলে ম্যাচটা হারতে পারত এটিকে মোহনবাগান। ৮৮ মিনিটে সহজ সুযোগ হারালেন এটিকে মোহনবাগানের প্রবীর দাস। গোলরক্ষকে একা পেয়েও ফিনিশ করতে পারেননি।