এদিন ম্য়াচের শুরু থেকে প্রভাব বিস্তার করেছিল এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে বাগানের অ্য়াটাকিং লাইন। সুযোগ পেলে পাল্টা ঝটিকা আক্রমণে যাচ্ছিল চেন্নাইও। ম্য়াচের ২৭ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। চেন্নাইয়িনের আক্রমণ থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। কয়েকটি পাসে চেন্নাইয়িনের ডিফেন্স ভেঙে দেয়। হুগোকে পাস দেন আশিস রাই। দিমিত্রসকে পাস দেন হুগো। দিমিত্রস মনবীরের উদ্দেশ্যে বল দেন। বক্সের মাঝখান থেকে দেবজিতের বাঁ-দিক দিয়ে বাঁ-পায়ের শট জালে জড়িয়ে দেন মনবীর সিং।
advertisement
গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ গড়ে তুলেছিল এটিকে মোহনবাগান। গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। বাগানের আক্রমণের ঝড়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই। দু-একটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি থমাস ব্রাদারিচের দল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় এটিকে মোহনবাগান।
ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মকভাবে বাগান শুরু করলেও খেলার তাল কাটে ফ্লাড লাইট নিভে গিয়ে। ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়। ম্য়াচের ৬২ মিনিটে রক্ষণের ভুলে ও গোলকিপার বিশাল কেইথের ফাউলের ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় চেন্নাইন এফসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরাতে কোনও ভুল করেননি কারিাকরি।
এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চলে। দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে। ম্য়াচের ৮২ মিনিটে ফের ডিফেন্সের ভুল গোল হজম করে জুয়ান ফেরান্দোর দল। এটিকে মোহনবাগান ডিফেন্স ঘুমিয়ে গেল। এটিকে মোহনবাগান ১-২ চেন্নাইয়িন। দুর্দান্তভাবে কাট করে বক্সের বাইরে থেকে কারিকারির দারুণ পাস বাড়ান। যেই পাসের সময় কার্যত পুরো দাঁড়িয়ে যায় এটিক মোহনবাগানের ডিফেন্স। বিনা মার্কিংয়ে থাকা রহিম আলি বল পেয়ে যান। সেখান থেকে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন রহিম।
এরপর শেষের দিকে ম্য়াচে সমতা ফেরানোর জন্য় মরিয়া হয়ে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। ফ্লাড লাইট বন্ধের কারণে ইনজুরি টাইমও দেওয়া হয় অনেকটা। বেশি কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও শেষের দিকে আর চেন্নাইয়ের রক্ষণ ভাঙতে সমর্থ হয়নি সবুজ-মেরুণের অ্য়াটাকিং লাইন। ২-১ গোলে ম্য়াচ জিতে মাঠ ছাড়ে চেন্নাইন এফসি।
