প্রার্থনা করেছিলেন এরিকসেনের সুস্থ হয়ে ওঠার। সেই ফিনল্যান্ডের জনি আজ নিয়ন্ত্রণ করলেন সবুজ মেরুন মিডফিল্ড। আক্রমণ এবং ডিফেন্সের যোগসূত্রের কাজ করলেন নিপুণভাবে। লাল হলুদ মাঝমাঠকে যেমন দ্বিতীয় বল ধরতে দিলেন না, তেমনই নিজেদের আক্রমণ করার সময় কখনও ডিফেন্স চেরা থ্রু বাড়ালেন, কখনও নিজেই পৌঁছে গেলেন গোলের কাছে। ম্যাচের সেরা হয়ে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত জনি।
advertisement
জানিয়ে দিলেন ভারতের বিশেষ করে গোয়ার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। পরবর্তী ম্যাচে আরও ভাল খেলবেন। গোল করতে না পারলেও আক্ষেপ নেই। দ্বিতীয় গোলটার এসিস্ট তাঁর। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে রেখে মনবীরকে (Manvir Singh) যে বলটা বাড়িয়েছিলেন, তার দাম মূল্যায়ন করা অসম্ভব। এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) কোচ হাবাস ম্যাচ শেষে জানালেন তিন গোলের ব্যবধান হয়তো বাড়তে পারত। কিন্তু তার কাছে প্রধান লক্ষ্য ছিল গোল হজম না করা। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল।
ডিফেন্সের দুই স্তম্ভ সন্দেশ এবং তিরি নেই। শুভাশিস, প্রীতম, শেষের দিকে প্রবীরদের মত বঙ্গসন্তানদের লড়াইয়ে মুগ্ধ স্প্যানিশ কোচ। অন্যদিকে লাল-হলুদ শিবিরে শুধুই হতাশা। সবুজ মেরুন ডিফেন্সের আইরিশ কার্ল ম্যাক হিউকে নিয়ে ততটা চর্চা হয় না, যতটা হয় রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna), ডেভিড উইলিয়ামসদের নিয়ে। হাবাস (Antonio Lopez Habas) অবশ্য বরাবর আস্থা রেখে আসেন এই ফুটবলারটির ওপর। ডার্বিতে আবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করলেন কার্ল।
ড্যানিয়েল চিমাকে এদিন প্রথম ধরে রাখেননি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার ডিয়াজ। মনে হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেয়ে জবাব দেবেন নাইজেরিয়ান তারকা। কিন্তু আজও ব্যর্থ বলা চলে তাকে। এমনকি জামশেদপুর ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা পেরসিভিচকেও এদিন ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। জনি সব করলেন। গোলটা করতে পারলেন না। যে ফুটবল মোহনবাগান খেলেছে তাতে আজ পাঁচ গোল দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। শেষদিকে ডেভিড উইলিয়ামস সহজ সুযোগ না হারালে নতুন ইতিহাস স্পর্শ করতে পারত সবুজ মেরুন।