কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দারাবাদ খেলাটা শুরুর আগে থেকেই মাঠে ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল। আজ সবুজ মেরুনের পারফরমেন্সটাও ঠিক সেরকম ধোঁয়ার মতোই ছিল। পরিষ্কার নয়। এক কথা বলতে গেলে আর কি।দিন চারেক আগে হায়দারাবাদের মাটিতে এই ম্যাচটা গোলশূন্য শেষ হয়েছিল। এমনি এবারের লিগে কলকাতায় জিতেছিল মোহনবাগান। হায়দ্রাবাদে জিতেছিল নিজামের দল।
advertisement
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল মোট ন’বার। তার মধ্যে চারটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তিনবার জেতে এটিকে মোহনবাগান ও দু’টি ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও সবুজ-মেরুনকে খোঁচা দিচ্ছে গত বারের সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের কাছে হার।
এবার তাই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বদলা পূরণ করতে মরিয়া জুয়ান ফেরান্দোর টিম। পরিসংখ্যান বলছে চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগান ঘরের মাঠে ১১টি ম্যাচ খেলেছে এবং তার মধ্যে আটটিতেই জিতেছে। তবুও আজকের সেমিফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠে এটিকে মোহনবাগানকে যতটা আক্রমণাত্মক থাকার দরকার ছিল অন্তত প্রথম ৪৫ মিনিটে সেটা চোখে পড়েনি।
মনবিরের পোস্টে লেগে ফিরে আসা শট এবং তার আগে দিমিত্রির শট ছাড়া বাগানের সেরকম ওপেন সুযোগ বলার মত ছিল না। তবুও বল নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে সামান্য এগিয়েছিল সবুজ মেরুন। এদিন প্রথম থেকে দলে কিয়ানকে রেখেছিলেন মোহনবাগান কোচ। হুগো বুমুকে কড়া মার্কিং করে রেখেছিল হায়দারাবাদ। দেখার ছিল দ্বিতীয়র্ধে মোহনবাগান নিজেদের স্টাইল বদলাতে পারে কিনা।
সেকেন্ড হাফ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিয়ানকে তুলে লিস্টন এবং তার কিছু পরে হুগোকে তুলে নিয়ে গায়েগোকে নিয়ে এল মোহনবাগান। কিন্তু তাও এরপর সেভাবে ওপেন করতে পারেনি তারা। চাপ থাকলেও কিছুতেই কাজের কাজ হচ্ছিল না এটিকে মোহনবাগানের। বক্সের মধ্যে সঠিক সময় লোক থাকছিল না বাগানের।
৮০ মিনিটে অল্পের জন্য সলাভকোর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গোল পেল না মোহনবাগান। কার্ল মিস করলেন হেড। খেলা চলে গেল অতিরিক্ত সময়।তবে সেট পিস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বারবার এটিকে মোহনবাগানের দুর্বলতার চোখে পড়ছিল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে লিস্টন হাফ চান্স কাজে লাগাতে পারলেন না। প্রথম সেমিফাইনালের মতো এই খেলাও টাইব্রেকারে চলে গেল।হায়দারাবাদ দলের হয়ে মিস করলেন সিভেরও এবং নাইজেরিয়ান ওগবেচে। মোহনবাগানের হয়ে মিস করেছিলেন হামিল্। তবে শেষ পর্যন্ত প্রীতম কোটাল গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে ৪-৩ জয় এনে দিলেন।