টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তাঁর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল তা প্রমাণ করে দেয় দলের বোলাররা। শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। সেভাবে কোনও বড় পার্টনারশিপও গড়ে ওঠেনি। ৫০ রান হওয়ার আগেই অর্ধেক বাংলাদেশ দল সাজঘরে ফেরত চলে যায়।
এদিন বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনে সর্বোচ্চ স্কোর জাকের আলির ২৪ রান। এছাড়া পারভেজ হোসেন করেন ২৩ রান ও রাকিবুল হাসান করেন ১৪ রান। এছাডা কোনও বাংলাদেশ ব্যাটার ২ অঙ্কের রানে পৌছতে পারেনি। ভারতের হয়ে সাই কিশোর ৩টি ও ওয়াশিংটন সুন্দর ২ টি উইকেট পান। ভারতীয় দলে স্পিনাররাই বাংলাদেশের ৮টি উইকেট নেয়। বাংলার স্পিনার শাহবাজ আহমেদ পান একটি উইকেট।
advertisement
ভারতের ইনিংস শুরু করেন যশস্বী জয়সওয়াল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু গত ম্যাচে রান পেলেও এদিন খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরন যশস্বী। শূন্য রানেই প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। তখনও মনে হয়েছিল ৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে কী যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে ভারতকেয় যদিও সেই আশঙ্কা বেশি সময স্থায়ী হয়নি। তার পরের ৯ ওভারের মধ্যে খেলাই শেষ করে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও তিলক বর্মা।
রুতুরাজ ও তিলক মিলে মারকাটারি ব্যাটিং করেন। বিশেষ করে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করেন তিলক বর্মা। ঝ়ড়ের গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক বর্মা। ৬টি ছয় ও ২টি চারে সাজানো তাঁর ইনিংস। ২৬ বলে ৪০ করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৪টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি। ফাইনালের টিকিট পাকা করে এখন ভারতের লক্ষ্য সোনা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তোলা।
