#অ্যাডিলেড: অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনই ছন্দহীন ইংল্যান্ডের উপর জাঁকিয়ে বসলো অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্রিসবেনে ৯ উইকেটে শোচনীয় পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড সমর্থকরা হয়তো ভেবেছিলেন, অ্যাডিলেড ওভালের দিন রাতের টেস্টে খোচা খাওয়া বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়বে ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম দিনের খেলায় কোনোরকম আগ্রাসন বা দাপটই দেখা গেলো না ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট বা দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে।
advertisement
টসে জিতে মন্থর পাটা উইকেটে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। বুধবার সতীর্থদের নিয়ে এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে কোভিড পজিটিভ এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ৭ দিনের জন্য নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। যদিও তার আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে আবার স্টিভ স্মিথ।
কামিন্স ও চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে ছিটকে যাওয়া হেজেলউডের বদলে মাইকেল নিসার ও যাই রিচার্ডসনকে নেওয়া হয়েছে। ব্রিসবেন টেস্টে তাদের অনুপস্থিতির জন্য তীব্র সমালোচনার পর প্রত্যাশা মতোই ইংল্যান্ড দলে ফিরেছেন ব্রড ও এন্ডারসন। বাদ পড়লেন লিচ ও মার্ক উড। শুরুর কয়েক ওভারে সামান্য মুভমেন্ট বাদ দিলে সন্ধ্যের আগে পর্যন্ত পিচে বোলারদের জন্য প্রায় কিছুই দেখা গেল না।
অষ্টম ওভারে স্টুয়ার্ট ব্রডের শর্ট বলে ৪ রানের মাথায় মার্কাস হ্যারিস আউট হন। লেগ সাইডে ঝাঁপ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন বাটলার। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লেবুশেন সতর্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। পিচে বোলারদের জন্য সাহায্য ছিলো না ঠিকই, ব্রড, এন্ডারসন, রবিনসন,ওকসের মধ্যে এই দুই ব্যাটারকে আউট করার জন্য জোরালো কোনো চেষ্টাই চোখে পড়েনি।
ফলে অবলীলায় খেলে যান ওয়ার্নার ও লাবুশেন। দুজনেই অর্ধশত রান করেন। বেন স্টোকসের লাগাতার শর্টবল লেবুশেনকে কিছুটা সমস্যায় ফেলে। স্টোকসকে পুল মারতে গিয়ে লেবুশেনের গ্লাভসে লাগা ক্যাচ ফেলেন বাটলার। যার যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার করেন লাবুশেন । তবে দিনের একেবারে শেষে দ্বিতীয় নতুন বলে লাবুশেনের সহজ ক্যাচ ফেলে দলের বিড়ম্বনা হয়ে রয়ে গেলেন বাটলার।
সারা দিন ধরে অধিনায়ক রুটের 'হাল ছেড়ে দেওয়া' শরীরী ভাষাই দেখা গেল দলের প্রতিটি খেলোয়াড়দের মধ্যে। চা পানের বিরতির পর থেকে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন এই দুজন। ব্যক্তিগত ৯৫ রানে স্টোকসের বল কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে ব্রডের হাতে বন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওয়ার্নার। তার ১৬৭ বলে ৯৫ রানের ইনিংসে ছিলো ১১ টি চার।
ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর স্মিথ বা লেবুশেনের উপর চাপ তৈরিতে ব্যর্থ ইংরেজ বোলাররা। দ্বিতীয় নতুন গোলাপি বল কিছুটা মুভ করলেও এন্ডারসন, ব্রড, রবিনসন তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারলেন না। লেবুশেনের সহজ ক্যাচ ফেলে এন্ডারসনের কাজ আরো কঠিন করে দেন বাটলার। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ২২১। ২৭৫ বল খেলে ৭ টি চারের সৌজন্যে ৯৫ রানে অপরাজিত আছেন লেবুশেন। স্টিভ স্মিথ অপরাজিত ১৮ রানে।