ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষে অনেকেই মনে করেছিল পঞ্চম দিনে ম্যাচ জেতার অ্যাডভান্টেজ অনেকটাই বেশি অস্ট্রেলিয়ার। শেষ দিনে পঞ্চম টেস্ট জিততে গেলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২৪৯ রান। ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট। কিন্তু ক্রিকেট যে মহা অনিশ্চিয়তার খেলা। হাতে ১০ উইকেট, একটা সেশনের পুরো খেলা পঞ্চম দিনেও ভেস্তে যায়। কিন্তু তারপরও নিজেদের হার বাঁচাতে পারেনি ব্যাগি গ্রিনরা। মেঘলা আকাশ, সঙ্গে হাওয়া, বলে সুইং, ঘরের মাঠে এমন আদর্শ পরিবেশে অজিদের অলআউট করতে দুটো সেশনই যথেষ্ট ছিল ইংল্যান্ড বোলারদের কাছে। পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ে বড় ভূমিকা নেন ক্রিস ওকস, মইন আলি ও স্টুয়ার্ট ব্রড। ওকস ৪, মইন ৩ ও ব্রড২টি উইকেট নেন।
advertisement
ওভালে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে অজিরা। ওপেনিং জুটিতে ১৪০ রানের পার্টনারশিপ দেখে অনেক ইংল্যান্ড সমর্থকও হয়তো ভাবেননিন ম্যাচটা জেতা সম্ভব। উসমান খোয়াজা ৭২ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরতেই পরপর উইকেট পড়া শুরু হয় অস্ট্রলিয়ার। মাঝে স্টিভ স্মিথ (৫৪), ট্রেভিস হেড (৪৩) ও অ্যালেক্স ক্যারে (২৮) কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩৩৪ রানে অলআউট হযে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৯ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-২ করে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ Jasprit Bumrah: এক বছর পর অধিনায়ক হয়ে কামব্যাক বুমরাহের, আয়ারল্যান্ডে সিরিজে দলে রিঙ্কু-মুকেশ-শাহবাজ
অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্টের সঙ্গেই শেষ হল ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের কেরিয়ার। টেস্টের চতুর্থ দিনেই ব্রড জানিয়ে দিয়েছিলেন এটা তাঁর কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। জয় দিয়ে কেরিয়ার শেষ করতে পারায় খুশি ব্রড। যতদিন খেলেছেন ২২ গজে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে ৬০০-র বেশি উইকেটেক মালিক। স্টুয়ার্ট ব্রডকে আগামি জাবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সতীর্থ ও ফ্যানেরা।