যুবভারতীতে কেলেঙ্কারি ঘিরে বিতর্কের মাঝে ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান তিনি। এরপরেই তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ৷
advertisement
অরূপ বিশ্বাসের চিঠি
অরূপ ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরেরও মন্ত্রী। তবে অব্যাহতি চেয়েছেন শুধু ক্রীড়া দফতর থেকে। ফলে, তাঁর ক্রীড়ামন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফাপত্র গৃহীত হলেও মন্ত্রিসভায় থাকছেন অরূপ বিশ্বাস।
সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির ‘গোট ট্যুর’ শুরু হতেই নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের সাক্ষী থাকল কলকাতা। প্রথমে দর্শকদের উচ্ছ্বাস থাকলেও অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তা রূপ নেয় চরম ক্ষোভ ও ধ্বংসযজ্ঞে। গত শনিবার সল্টলেকের স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারির দিকে উড়ে আসে বোতল, খাবারের প্যাকেট। ছিঁড়ে ফেলা হয় ফাইবারের আসন, সেগুলি মাঠের মধ্যে ছুড়ে মারা হয়। ভাঙচুর করা হয় গেট, খেলোয়াড়দের টানেলের ছাদে চালানো হয় হাতুড়ির আঘাত। ছিঁড়ে ফেলা হয় পোস্টার ও হোর্ডিং।
আরও পড়ুন- ‘আসল দোষী মেসিই…’ যুবভারতী কাণ্ড নিয়ে একী বললেন সুনীল গাভাসকর !
দর্শকদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মাঠে ভিআইপি-দের হস্তক্ষেপ। অভিযোগ, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি নিরাপত্তা নির্দেশ উপেক্ষা করে মেসির একেবারে কাছে পৌঁছে যান। ইভেন্ট চলাকালীন প্রায় ১০০ জন মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে তাঁকে ঘিরে ধরেন, যার ফলে স্টেডিয়ামের বাকি দর্শকরা তাঁকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাননি। হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেসিকে দেখতে আসা দর্শকরা প্রবল হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরে যান ৷
