শাকিব আল হাসানকে গ্রেফতারের জন্য পরোয়ানা জারি করা হয় বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাঙ্কের চেক ডিজঅনার মামলায়। একই মামলায় শাকিব ছাড়াও আরও দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
শাকিবের নামে একটি চেক জালিয়াতির মামলা হয় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। মামলার নথি থেকে জানা যায়, শাকিব-সহ চার আসামির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়। ব্যাংকের রিলেশনশিপ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- মোহনবাগানের সাধারণ সভায় চেয়ার তুলে মারামারি, চরম উত্তেজনা সবুজ-মেরুণ তাবুতে
শাকিব-সহ মামলার আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত এর আগে আদেশ অমান্যকারী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার সম্ভাবনাও জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী রবিবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন- বিসিসিআই-এর চিঠি সিএবিতে! কোনও বাড়তি গাড়ি নয়, একটাই বাস বিরাটদের জন্য!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে শাকিব আল হাসানের অভিষেক হয় ২০০৬ সালে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচনে লড়েন। গত বছর ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আর দেশে ফেরা হয়নি তাঁর।
সূত্র মারফত জানা যায়, শাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে ঋণ নেয়। পরিবর্তে দুটি চেক ইস্যু করে শাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ টাকা।
ক্রিকেট মাঠেও বিতর্কে রয়েছেন শাকিব। তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্ক হয়। তাঁর বোলিং করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। আইসিসির নিয়মবিধির ১১.৩ ধারা অনুয়ায়ী তিনি সমস্ত ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নির্বাসিত হন। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনকে ঠিকঠাক করে বৈধ প্রমাণ না করা পর্যন্ত তাঁর বোলিং করা নিষিদ্ধই থাকবে।