সেই যে শুরু হল, এত দিনে কুম্বলে জুনিয়র নিজেকে ধীরে ধীরে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হিসেবে ভালোই তৈরি করেছেন। নিজের তোলা ছবিগুলো দিয়ে একটি ‘কফি টেবিল বুক’ বানিয়েছেন মায়াস। কিছুদিন আগে ভিভিএস লক্ষ্মণের উপস্থিতিতে সেই বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও হয়ে গেল। ১৭ বছর বয়সী মায়াস মনে করেন, নানা জায়গায় ঘুরে বন্য প্রাণীদের ছবি তোলার বিষয়টি তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য।
advertisement
বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছবি তোলার ক্লাবের সহপ্রতিষ্ঠাতা মায়াস। ২০১৭ সালে রনথাম্বরে ন্যাশনাল পার্কে একবার বুনো পোকার কামড়ও খেতে হয় তাঁকে। এরপরই মায়াসের জীবনে নতুন এক দুয়ার খুলে যায়। তাঁর বাবা অনিল কুম্বলেরও যে বুনো জীবজন্তুর ছবি তোলার ঝোঁক আছে। ঘুরে বেড়ানোর সময় বাবার কাছে ছবি তোলা সম্বন্ধে শিখেছি।
বাড়িতে ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে ছবি নিয়ে কাজ করি। ছবি তোলার জন্য কোথাও ঘুরতে গেলে বাবা ও আমার সম্পর্কটা বন্ধুর মতো হয়ে যায়। ছবি তোলার মাধ্যমে একাডেমিক পড়াশোনা থেকে একটু দম ফেলার সুযোগ পাই—বলেছেন মায়াস। গত পাঁচ বছরে বিড়াল গোত্রের প্রাণী, শিকারি পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রচুর ছবি তুলেছেন মায়াস।
সেসব ছবির সংকলনেই বইটি বানানো হয়েছে। কর্ণাটকের কাবিনিতে বিরল কালো চিতা বাঘের ছবি তুলেছেন মায়াস। এই ছবিকেই নিজের ‘সেরা’ ক্লিক বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও বানেরঘটা এবং কাবেরী ন্যাশনাল পার্কে রয়েল বেঙ্গলের ছবি তুলেছেন মায়াস।
