পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে। শৈশবে মাত্র ৮ বছর বয়সে নিজের দু’টো হাত তিনি হারান বাবার কারখানায়। তার পরও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। হালও ছাড়েননি। তাঁর প্রতিভার সন্ধান পেয়ে এক শিক্ষক ক্রিকেটার হওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন। কাঁধ এবং ঘাড়ের মাঝে ব্যাট ধরে তিনি ব্যাটিং করেন। বোলিং করেন দু’ পায়ের সাহায্যে।
advertisement
আরও পড়ুন : নীল রঙের এই কলা! মুখে দিলেই ভ্যানিলা আইসক্রিম! ওজন ও হৃদরোগ কমাতে অদ্বিতীয়…খেয়ে দেখুন একবার
৩৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার পর আমি আশা ছাড়িনি। কঠোর পরিশ্রম করে যেতে থাকি। সব কাজ আমি নিজেই করতে পারি। কারওর উপর নির্ভরশীল নই। দুর্ঘটনার পর কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। সরকারও কোনও সাহায্য করেনি। শুধু পরিবার আমার পাশে ছিল।’’
প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তাঁকে খেলতে দেখে বাকিদের প্রতিক্রিয়া নিয়েও বলেছেন এই তরুণ, ‘‘২০১৩ সালে আমি দিল্লিতে জাতীয় স্তরের ম্যাচ খেলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি। তার পর আমি নেপাল, শারজা, দুবাইয়ে ক্রিকেট খেলেছি। আমার পা দিয়ে বোলিং এবং ঘাড় ও কাঁধের সাহায্যে ব্যাটিং দেখে সকলে চমকে গিয়েছিল। ক্রিকেট খেলার শক্তি দেওয়ার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’’
আমিরের জীবনসংগ্রাম নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। তাঁর এবং দলের বাকি সদস্যদের আদর্শ সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলি। দুই মহাতারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দিন গুনছেন তাঁরা।