নিজের ঘরের মাঠ মুম্বইয়ের ওয়াংখেরে স্টেডিয়ামে ওপেন করতে নেমে ২৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন রাহানে। সাতটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছক্কা প্রমাণ করল এখনও শেষ হয়ে যাননি। এরপর শিবম ডুবে এবং ঋতুরাজ মিলে এগিয়ে নিয়ে গেলেন চেন্নাইয়ের ইনিংস। বাকি কাজটা করে দিলেন আম্বাতি রাইডু। দ্বিতীয় জয় পেয়ে গেল চেন্নাই। দুটো খেলে দুটোই হারল রোহিত শর্মার মুম্বই।
advertisement
টস জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা সঠিক কাজ করেননি মনে হচ্ছিল প্রথমদিকে। রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষান বেশ পজিটিভ শুরু করেন। তার ওপর প্রথম ওভারে বল করতে এসেই পুরনো ব্যথার জায়গায় আবার লাগল দীপক চাহারের। উঠে যেতে হল তাকে। পরিবর্ত হিসেবে নামলেন পেসার মাগালা।
তাকে পেটালেন ঈশান কিষান। বিনা উইকেটে ৩৮ তুলে ফেলল মুম্বই। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ ছন্দপতন। একটা স্বপ্নের ডেলিভারিতে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করলেন তুষার দেশ পান্ডে। মুম্বই অধিনায়ক বুঝতেই পারেননি বলটা।মিডল অর্ডারে সূর্য কুমার (১) আবার ব্যর্থ। ঈশান (৩২) জমে গিয়েও আউট হলেন জাদেজার বলে। ক্যামেরণ গ্রিন (১২) একটা জোরালো শট নিলেও রবীন্দ্র জাদেজা অসাধারণ রিফ্লেক্সে ক্যাচ নিলেন।
আরশাদ ফিরে গেলেন ২ করে। দুই স্পিনার জাদেজা এবং স্যান্টনার দুর্দান্ত বল করলেন। মুম্বই ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি একেবারে কমিয়ে দিলেন। কিছুটা লড়াই করলেন তিলক বর্মা (২২)। তাকেও এলবিডব্লিউ করলেন জাদেজা। মুম্বই ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দিলেন এই দুই স্পিনার। একটি করে উইকেট হারাচ্ছে মুম্বই। ডাগ আউট বসে সচিন তেন্ডুলকর দেখছেন।
প্রশংসা করতে হবে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও কিভাবে বোলারদের ব্যবহার করবেন সেটা তার থেকে এখনও ক্লাস নিতে পারেন রোহিত শর্মারা। উইকেটের পেছনেও অসাধারণ রিফ্লেক্স দেখালেন মাহি।
টিম ডেভিড ৩১ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ লড়াই করলেন বটে, কিন্তু প্রথম ইনিংস শেষে স্কোরবোর্ডে যে রান উঠেছে তাতে এই ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ চেন্নাই সুপার কিংস বলা যেতেই পারে। একদম শেষে ঋত্বিক শকিন কয়েকটা দেখার মত শট মেরে রান নিয়ে গেলেন ১৫৭ রানে। ঋতুরাজ অপরাজিত থাকলেন ৪০ রান করে। ১১ বল বাকি থাকতে ম্যাচটা ৭ উইকেটে জিতে গেল চেন্নাই সুপার কিংস।