১৪ জুলাই, ২০১৯। ক্যালেন্ডারে এই দিনটা হয়তো ভুলতে ইংরেজদের বেশ কিছু বছর সময় লাগাবে। এই রবিবারের রোমাঞ্চ হয়তো আরও কয়েকদিন উপভোগ করবেন লন্ডনের বাসিন্দারা। কারণ, হালফিলে এমন ছুটির দিন তাঁরা পাননি। একদিকে ছিল দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ হাতে দেখার উন্মাদনা। অন্যদিকে ছিল, সাবেক ঘাসে দুই তারকার লড়াইকে উপভোগ করার দিনভর প্রহর গোনা।
advertisement
লর্ডস থেকে উইম্বলডন। টিউবে গেলে সময় লাগবে মাত্র সাতাশ মিনিট। এই সাতাশ মিনিটের এই ব্যবধানে তৈরি হওয়া এক অদ্ভূত মাদকতায় রবিবার বুঁদ হয়ে থাকলেন ইংরেজরা। ছিল সিলভারস্টোন গ্রাঁ প্রি-ও ৷ যেখানে জিততে সফল ইংল্যান্ডেরই ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিল্টন ৷
লর্ডসে তখন টস হয়ে গিয়েছে। কিউইদের ইনিংস শেষ হওয়ার মুখে। তখন সেন্টার কোর্টে শুরু হয়েছিল নোভাক জকোভিচ বনাম রজার ফেডেরারের যুদ্ধ। আর শেষ যখন হল, তখন লর্ডসে সবে শেষ হয়েছে একশো ওভার। বিশ্বকাপ তখনও নিষ্ফলা।
পরিসংখ্যান বলছে, উইম্বলডনের ইতিহাসে দীর্ঘতম ফাইনাল। সময় লেগেছে চার ঘণ্টা পঞ্চান্ন মিনিট। এই সময় এখন আর বলিউডের সিনেমা হয় না। এই সময়ে এখন আর কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক যেতে লাগে না। এই সময়ে আর ট্র্যাঙ্ককলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। তবুও এই সময়ে ধরেই লড়াই চলল জোকার বনাম ফেডেক্সের মধ্যে। লড়াই একটা উইম্বলডনের জন্য।
বয়স আজও তাঁর কাছে সংখ্যা মাত্র। তাই আটতিরিশের দোড়গোরাতেই ছয় বছরের ছোটো জোকারকে পাঁচ সেট পর্যন্ত অনায়াসে নিয়ে যেতে পারেন কিং রজার। আসলে সবুজ ঘাসে সবসময় নিজেকে ভাসিয়ে দেন তিনি। যেমন দিয়েছিলেন রবিবারও। একটা ভুলেই হাতছাড়া উইম্বলডন। রাজা জোকারের মন্ত্রী রজার।
ফিরে আসা আবার লর্ডসে। ব্যালকনিতে তখন উত্তেজনার চোরা স্রোত বইছে। ইংল্যান্ড না নিউজিল্যান্ড, বিশ্বকাপ কার ? বন বন করে ঘুরছে এই প্রশ্ন। ডিপ-মিড উইকেট থেকে একটা থ্রো উড়ে এল বাটলারের গ্লাভসে। এরপর...১৪ জুলাই, ২০১৯। দশ বছর পরেও এই দিনটা ইংরেজদের মনে শিহরণ তুলবে। কারণ, এমন রবিবার, সত্যিই রোজ আসেনা।