সল্টলেক যাদবপুর ক্যাম্পাসের মাঠে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ টুর্নামেন্টের গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল বিহারের। ১৪ বছরের বিস্ময়বালক গত ম্যাচেই মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে সেটাই ছিল রেকর্ড।
এদিন বৈভব ২৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসের মধ্যেও ছিল বিনোদন। মোট চারটি চার ও চারটি ছক্কার সৌজন্যে এই ইনিংস সাজিয়ে দেয় বাঁ-হাতি ওপেনার। চার ছক্কার মধ্যে দু’বার বল হারিয়ে যায়। এত বড় দু’টি ছক্কা হাঁকায় যে দু’বার আম্পায়ারকে বল চাইতে হয় রিজার্ভ আম্পায়ারের কাছে।
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি পার্ক করেন। বৈভবের একটি ছক্কা গিয়ে পড়ে এক অধ্যাপকের গাড়ির পাশে। তড়িঘড়ি গাড়িটা সেই জায়গা থেকে সরাতে বাধ্য হন তিনি। সেই অধ্যাপক বলছিলেন, ‘‘ওরে বাবা! এত বড় ছক্কা মারছে, গাড়ির কাঁচ না ভেঙে যায়।’’ তাঁর দেখাদেখি পার্কিং লট থেকে একের পর এক গাড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- প্রথম বাঙালি হিসাবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি তুলেছিলেন হাতে, ডিএসপি পদে যোগদান রিচা ঘোষের
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ৫৮ বলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন বৈভব সূর্যবংশী। সেদিন সমস্তীপুরের তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশী ওপেন করে ৭টি চার ও ৭ ছক্কায় শতরান করেন। তাঁর ব্যাটিং মানেই তাণ্ডব, এটাই যেন এখন ভারতীয় ক্রিকেটে দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ক্রিজে আছেন মানে চার, ছক্কার বন্যা হবে!
